দেশে গরু বেড়েছে, কোরবানিতে ১০ ভাগের ১ ভাগও বিক্রি হয় না: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

কোরবানির পশুর জন্য এখন আর বিদেশি গরুর প্রয়োজন হয় না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত গরু এতই বেড়েছে যে দেশীয় পশুর ১০ ভাগের ১ ভাগও কোরবানিতে বিক্রি হয় না।’

বুধবার সকালে পিরোজপুরের নাজিরপুরে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ‘প্রানিসম্পদ প্রদর্শনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নাজিরপুর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতলের উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উৎপাদিত মাছ ৫২টা দেশে এবং প্রাণিসম্পদের মাংস বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। কোরবানি এলে আগে ভারতের গরুর ওপর নির্ভর করতে হত। আর এখন এ নির্ভরতা সম্পূর্ণ কেটে গেছে।’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। আমরা ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি।’

শিক্ষিত বেকারদের চাকরির পেছনে না ঘুরে পশুপালনের পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘যদি ১০টি ছাগল থাকে, ৫টি গাভী থাকে এবং সেখান থেকে গাভীর বাচ্চা হয়, দুধ হয় সেখান থেকে যে আর্থিক স্বচ্ছলতা আসে। তাহলে কিন্তু চাকরির পেছনে ছুটতে হয় না।’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আহবানে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন আমি চাই তাদের একজনও যেন অস্বচ্ছল না থাকে। তাদের বিপদে আপদে সরকার পাশে আছে। বর্তমান সরকার বীরনিবাস করে দিচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাদের সামাজিক অন্যান্য সম্মান বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকার যতকাল থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও তাদের পরিবারের সুযোগ সুবিধা বাড়বে।’

পরে মন্ত্রী প্রদর্শনীর বিভন্ন স্টল ঘুরে ঘরে দেখেন। প্রদর্শনীতে উপজেলার বিভিন্ন খামারের গাভী, বলদ, ছাগল, হাঁস-মুরগীসহ প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিভিন্ন স্টল দেখতে শতশত মানুষে ভিড় করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. সঞ্জিব চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রঞ্জু, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আব্দুস সবুর এবং জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তরুন কুমার সিকদার।

(ঢাকাটাইমস/১৫মার্চ/ডিএম)