আপিল বিভাগে পুলিশি নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব ও ব্যারিস্টার কাজল

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২৩, ১২:২৪ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩, ১৩:৪৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের প্রথম দিনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। তারা এ ঘটনায় বিচার চেয়ে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েস সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৮ বিচারপতি এজলাসে বসার পর গতকালের পুলিশি হামলা ও মামলার কথা তুলে ধরেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তিনি আইনজীবীদের নিরাপত্তাও চান।

এসময় প্রধান বিচারপতিকে সম্বোধন করে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ‘আমরা আপনার আদালতের আইনজীবী। আপনি আমাদের অভিভাবক। আমরা কী এমন অপরাধ করেছি? গতকাল পুলিশ আইনজীবীদের নির্যাতন করল। এ থেকে নারী আইনজীবীরাও রেহাই পাননি। আমি পুলিশকে বলেছি, আমি সম্পাদক প্রার্থী। তারপরও আমাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। বার ভবনে আমাদের কক্ষগুলো লক করে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা আপনাদের কাছে এসেছি।’

নিজেও পুলিশের নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা তুলে ধরে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আজও আমি ভালো করে হাঁটতে পারছি না। গতকাল মিলনায়তনের ভেতরে আইনজীবীদের পায়ের নিচে ফেলে নির্যাতন করেছে পুলিশ।’

সাংবাদিক ও নারী আইনজীবীদেরও লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে আপিল বিভাগকে জানান মাহবুব উদ্দিন খোকন।

প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কোর্ট অফিসার। আমরা আপনাদের সম্মান করি। এখন আদালতে মামলা শুনব। আপনারা দুইজন বেলা ১১টার সময় খাস কামরায় আসুন। আপনাদের কথা শোনা হবে। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে আনব।’

আজ বৃহস্পতিবার থমথমে অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয় দিনে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রয়েছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন।

আদালত প্রাঙ্গণে আজ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নারী পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) পাঁচ শতাধিক পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মোতায়েন থাকবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। 

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/এফএ)