সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোটে বিএনপি-জামায়াতপন্থী ৩৫০ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ১৬ মার্চ ২০২৩, ২৩:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার মামলা করেছে পুলিশ। এতে আসামি কা হয়েছে বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের। মামলায় পুলিশের ওপর হামলা ও ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ সাংবাদিক মারধরের শিকার হলেও এ বিষয়ে পুলিশের মামলায় কোনো তথ্য নেই।

 

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলা করেছেন একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ। মামলায় বিএনপি–জামায়াতপন্থী আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, মনজুরুল আলম সুজনসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়।

 

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বুধবার (১৫ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টে পুলিশের মারধরের শিকার হন অন্তত ১০ সাংবাদিক। তারা অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের ঘিরে ধরে লাথি দিয়েছে ও লাঠিপেটা করেছে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় কয়েকজন সাংবাদিকের মুঠোফোনও কেড়ে নেয় তারা। তবে পুলিশের করা মামলায় সাংবাদিকদের মারধর করার কোনো তথ্য নেই।

 

এর আগে বুধবার ভোট গ্রহণের প্রথম দিন ব্যালট পেপার চুরি ও ছিঁড়ে ফেলা এবং নির্বাচনসংক্রান্ত আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র বাইরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামান একটি মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপিপন্থী আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, কামরুল হাসান সজলসহ ১২ জন আইনজীবীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবারের মামলার বাদী এসআই গোলাপ উদ্দিন মাহমুদ অভিযোগ করেন, বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে নির্বাচন উপলক্ষে দায়িত্ব পালনকালে বিএনপি–জামায়াতপন্থী আইনজীবী ও মামলার ১ নম্বর আসামি মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ২ নম্বর আসামি রুহুল কুদ্দুস নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন তারা। পরে নির্বাচন কমিশন, আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী ও সাধারণ ভোটাররা পুলিশের সহযোগিতা চান।

 

পুলিশের মামলায় বলা হয়, পুলিশ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করে। এ সময় বিএনপি–জামায়াতপন্থী ও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ব্যাপক হট্টগোল শুরু হয়। পুলিশ উভয় পক্ষের আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র ফাঁকা করে ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরির অনুরোধ করে। পরে ভোট গ্রহণ স্বাভাবিক হয়। বেলা ৩টার দিকে আসামিরা লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে নির্বাচনী প্যান্ডেল এবং ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এলোপাতাড়ি আঘাত করে।

 

(ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/কেএম)