বিশেষ এক থেরাপিতেই ধ্বংস হবে ক্যানসারের কোষ! জানুন সে সম্পর্কে

প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৭

ঢাকা টাইমস ডেস্ক

মানব দেহের জটিল রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম ক্যানসার। যা হতে পারে মাথা এবং ঘাড়েও । এই দুই অঙ্গের কোষগুলো যখন অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে যখন দূষিত রক্ত লসিকা সংবহনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দেহের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে, তখনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।

এমনটা নয় যে, ঘাড় ফুলে গেলে বা মাথার যন্ত্রণা হলেই সেটা ক্যানসারের লক্ষণ! কিন্তু এই যন্ত্রণা যদি অনেকদিন ধরেই থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, ক্যানসার আদতে ঘাড় বা মাথার যন্ত্রণা দিয়েই শুরু হয়। কিন্তু কেন হয় মাথা আর ঘাড়ের ক্যানসার?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসারের অন্যতম কারণ। এর সঙ্গে সুসংবাদও দিচ্ছেন তারা। বলছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের আমূল উন্নতির জন্য আবিষ্কৃত হয়েছে এমন এক থেরাপি, যা অতি সহজেই ঘাড় ও মাথার ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে বাঁচিয়ে দেবে।

ক্যানসার হলো এমন এক মরণ রোগ, যা শিশুসহ বৃদ্ধ কাউকেই ছাড়ে না। সেই ভাবে ওষধ না থাকার ফলে ঢলে পড়তে হয় মৃত্যুর মুখে। কিন্তু আর ভয়ের কারণ নেই- এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আবিষ্কার হয়েছে এমন এক থেরাপি, যা সহজেই এই মরণ রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সেই বিশেষ থেরাপির নাম ইমিউনোথেরাপি। এটি এমন এক থেরাপি যা আপনার শরীরের ক্যানসারের কোষগুলোকে নষ্ট করে দেয়। ইমিউনোথেরাপি হলো একটি জৈবিক থেরাপি। টিউমার হলে তার চারপাশে বাড়তে থাকে অনাক্রম্যতার কোষ। এই থেরাপি সেই কোষগুলোকে ধ্বংস করে।

টেলোমেরেজ রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেস (টিইআরটি) হলো একটি অ্যান্টিজেন। যার প্রায় ৮৫ শতাংশ টিউমার কোষে প্রচুর পরিমাণে তৈরি হয়। অ্যান্টিজেন হলো টক্সিন বা অন্যান্য পদার্থ, যা সেই পদার্থের বিরুদ্ধে ইমিউন শক্তি বাড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৬৬ হাজার মানুষ ঘাড় ও মাথার ক্যানসারের শিকার হয়। রোগ নির্ণয়ের এক বছরের মধ্যেই ৬০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়। তবে তাদের ধারণা এই হার কিছুটা হলেও কমবে ইমিউনোথেরাপির বদৌলতে।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/এজে)