রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা: বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০২৩, ২১:৪৯

শরীয়তপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

দেশে রমজানে কে সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রব্য মূল্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এবছর রমজানে দেশে যথেষ্ট পরিমাণের মজুদ রয়েছে। দাম বাড়ানোর কোন প্রয়োজন নেই। তার পরও যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ীরা রমজানে দাম বাড়ায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রামজান মাসটি হলো সংযমের মাস। এই মাসে সবার সংযম থাকাটাই জরুরি। শরীয়তপুরের ডামুড্যায় স্মার্ট ভিলেজ এক্সপো  (ডিজিটাল পল্লী) মেলা শেষে সাংবাদিকদের জানান বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশী।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় উপজেলা মাঠে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলাটিতে ই-ক্যব ও বিপিসি সার্বিক সহযোগিতা করে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশকে হাতের মুঠোয় করার লক্ষ্যে এই ডিজিটাল পল্লী মেলা আয়োজন করেছি। বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা অনেক সতর্কতার সাথে সামনের দিকে এগুচ্ছি। এখন আমাদের ভিশন ২০৪১ সালে দেশ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দেশ হবে উন্নত, শিক্ষিত, চিকিৎসায় এগিয়ে যাবে। সবাই সবার কথা ভাববে, সবার বাড়ি থাকবে, সবার শিক্ষা থাকবে- এই স্বপ্নটি তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা পূরণ করে দিয়েছেন। আমরা বড় ভাগ্যবান তার মত একজন নেত্রী আমাদের রয়েছেন। গত ১৪ বছর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সামনেও করে যাবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে খাদ্যে কোথাও কোন সংকট নেই। আমরা এক কোটি পরিবারকে রমজান সামনে রেখে বিভিন্ন পণ্য বিতরণ করছি। গ্রাম অঞ্চলে ছোলা ও শহরে খেজুর দিচ্ছি। আমরা ব্যবসায়ীদের বলেছি, ন্যায্য যেই দাম আছে- তা রাখবেন। আমাদের কোন সংকট নেই। বিভিন্ন দেশে আমরা দেখতে পাই রমজান মাস এলে তারা পণ্যের দাম কমিয়ে দেয়। আর ক্রেতাদের বলতে চাই- তারা রমজান এলেই এক সাথে মাসের পুরো বাজারটা করে। তারা যেন এটি না করে। এতে অসাধুরা সুযোগ পায়।

যারা দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিষয়ে কতটুকু পদক্ষেপ নিচ্ছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। রমজানে যাতে দাম বৃদ্ধি করতে না পারে, সেজন্য ভোক্তা অধিকার ও প্রশাসনকে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত করতে বলা হয়েছে।

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিবা খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লি: ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আলম, ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আম্বারীন রেজা, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, জেলা প্রশাসক পারভেজ হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (এসডিজি বিষয়ক) মুখ্য সমন্বয়ক আখতার হোসেনসহ আরো অনেকে।

মেলায় ৭০টি স্টল বসে। এর মধ্যে জেলার ১৩ স্টল রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭মার্চ/এলএ)