ভোটের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া উচিৎ: এমপি দুর্জয়

প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৩, ২১:৪৭

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ এম নাঈমুর রহমান দুর্জয় বলেছেন, ‘আমাদের দেশে প্রতিটি নির্বাচন হয় উৎসবমুখর পরিবেশে। এদেশের মানুষের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ অনেক বেশি। কিন্তু ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে উৎসাহের প্রতিফলনটা আমরা কম দেখি। নির্বাচনের আগে প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চান, কিন্তু ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক নারীর স্বাধীনতা থাকে না। অনেক স্ত্রী তার স্বামীর কথায় ভোট দেন। স্বাধীনভাবে ভোট প্রয়োগে ভোটাররা প্রথম বাধাই পান তার নিজ বাড়িতে। উন্নয়ন কিংবা যোগ্য প্রার্থীর বিষয়টি ওই নারীর কাছে কোন মুখ্য বিষয় নয়।’

শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পদ্মা রিভারভিউ রিসোর্টে হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ কমিশন আয়োজিত ভোটার এডুকেশন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

দুর্জয় আরও বলেন, ‘ভোটের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে সবার আগে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া উচিৎ। ভোটারদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে তারা কারো কথায় প্রভাবিত না হয়ে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবে। এর জন্য নারী জনপ্রতিনিধিদের ঘরে ঘরে গিয়ে কাজ করতে হবে।’

সেমিনারে হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ কমিশনের নির্বাহী সভাপতি ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব আতাউর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনে যাদের যোগ্যতা নেই তাদের নির্বাচিত করলে ভুল হবে। ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীর পাশাপাশি যোগ্য দলকেও বেছে নিতে হবে। দেশ সামনে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ভোট প্রয়োগের ক্ষেত্র ডিজিটাল হবে এটাই স্বাভাবিক।’

জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফজাল হোসেন খান বলেন, ‘সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলতে কিছু নেই। নির্বাচন হবে সাংবিধানিকভাবে। তবে, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এটা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্রের জন্য সেটি হবে বিরাট হুমকি।’

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক হাসান সাঈদ বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়াতে অযোগ্য প্রার্থী অর্থ খরচ করে দলীয় প্রতীক পান। এতে অনেক অযোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হয়ে যান। তাই স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বাতিল করা প্রয়োজন।’

সংগঠনের সভাপতি ড. মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, হিউম্যান রাইটস্ ওয়াচ কমিশনের মহাসচিব মো. নূরুল ইসলাম ছাত্তার, ব্যারিস্টার ওলোরা আরফিন, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল কুদ্দুস, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, সাধারণ  সম্পাদক অতীন্দ্র চক্রবর্তী বিপ্লব প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এলএ)