২০২৩ সালই আওয়ামী লীগের শেষ সময়: দুদু

প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০২৩, ২২:৩২

ময়মনসিংহ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ২০২৩ সালই আওয়ামী লীগের শেষ সময়। এরপর আর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা এই বছরের শেষে অথবা নতুন বছরের শুরুতে নির্বাচন করতে চাই। কিন্তু সে নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। হবে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে।

শনিবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ বিএনপির দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন সড়কে মহানগর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে কবুল বলে দিয়েছি। আপনি (শেখ হাসিনা) চিন্তা করে দেখুন- কেয়ারটেকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন কি-না ? তবে উনি বলেছেন- আমি তো কেয়ারটেকার বাতিল করিনি, আদালত বাতিল করেছে। তার মানে উনি রাজি আছেন।  

বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি নেতা দুদু আরও বলেন, ভাবার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না। তারা যে কর্ম করেছে জবাব দিতে হবে। সাড়ে সাতশ নেতাকর্মী তুলে নিয়ে গুম করা হয়েছে। সালাউদ্দিনকে ভারতে নিয়ে ফেলে দিয়ে আসা হয়েছে। জবাব দিতে হবে। ডাক আসলে নেমে পড়তে হবে। এই যুদ্ধে আমাদের জয়লাভ করতেই হবে। নরঘাতক, লুটেরা, দুর্নীতিবাজ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।

এ সময় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে সাবেক ছাত্রনেতা দুদু বলেন, তারেক রহমান দক্ষ কারিগর। তিনি টানা সতের বছর দেশের বাইরে থেকে মৃত প্রায় বিএনপিকে জাগিয়ে তুলেছেন। আসুন সবাই এক্যবদ্ধ হয়ে এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলি।

বিএনপি ঘোষিত দশ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই সমাবেশ করেছে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি।

এ সময় মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক জননেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ ও অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী।

এতে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফখর উদ্দিন বাচ্চু, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী রানা।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম বলেন, গত চৌদ্দ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে দেশে অলিখিত বাকশাল কায়েম করেছে। হামলা, মামলা আর নির্যাতন করে দেশের নির্বাচন সংস্কৃতি নষ্ট করে দিয়েছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এই অবস্থায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায়ের কোন বিকল্প নেই।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অপর সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, ঘুষ ছাড়া দেশে কোন কাজ হয় না। সর্বত্রই দুর্নীতির মহাউৎসব চলছে। বিদ্যুতে কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করা হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। কলকারখানা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। কিন্তু দেশের এই দুরাবস্থার মধ্যেও সরকার আবার সাজানো নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। তাই জাতীর মুক্তির জন্য যে কোন মূল্যে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা হবে।  

এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টায় কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু করেন বিএনপি নেতারা। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের র্শীষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮মার্চ/এলএ)