বেপরোয়া গতির কারণে চাকা ফেটে মাদারীপুরের বাস দুর্ঘটনা: পুলিশ সুপার

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৩:২৫ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৩:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে রেলিং ভেঙে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে হতাহতের ঘটনায় মালিকপক্ষ দাবি করেছে বাসের সামনের চাকা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ বলছে বেপরোয়া গতির কারণেই চাকা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

রবিবার সকালে এই দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

দুর্ঘটনার বিষয়ে মাদারীপুর রিজিওনের ডিআইজি সালমা বেগম জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি বাসটির ওভার স্পিডের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। অতিরিক্ত গতির কারণে প্রথমে বাসটির ডান পাশের চাকা ফেটে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। পরে এক্সপ্রেসওয়ের ১০০ মিটার উঁচু থেকে উড়ে এসে নিচের সার্ভিস লেনের ব্রিজে সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম বলেন, এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ১৪ জন মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৬ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত নারীসহ নিহতের সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।

প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটি, অতিরিক্ত গতি ও সামনের ডান পাশের চাকা ফেটে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ তদন্ত কমিটি করবে। তদন্ত কমিটি বাসটির ফিটনেস, চালকের লাইসেন্স এসব জেনে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারবে। আপাতত চালক বা তাঁর সহকারী কে ছিলেন, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। হতাহতদের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশ তদন্ত করবে।

স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত বাসের মধ্যে থেকে বেশ কয়েকজন যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 (ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/পিআর/এআর)