তিস্তায় পশ্চিমবঙ্গের খাল খনন: দিল্লির উত্তর পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ঢাকা

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৭:১৯ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৭:৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

তিস্তা নদী থেকে পানি প্রত্যাহারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নতুন দুই খাল খননের উদ্যোগের বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে বাংলাদেশ কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে জানতে চেয়েছে।

ভারত সরকারের কাছ থেকে উত্তর এলে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। পররাষ্ট্র সচিব মনে করেন, এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করার মতো সময় হয়নি।

ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২৩ এবং ইনোভেশন কর্নার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক টেলিগ্রাফ খবর দেয়, তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের জন্য প্রায় এক হাজার একর জমির মালিকানা পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ। এরইমধ্যে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন জমির মালিকানা হস্তান্তর করেছে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ঝুলে থাকা তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এমন উদ্যোগের ফল কী হতে পারে সেই প্রশ্নও রাখা হয়।

এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘তিস্তা নদী থেকে পানি প্রত্যাহার পরিকল্পনার বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাতে বাংলাদেশে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে।’

‘আমরা কূটনৈতিক পত্রের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে জানতে চেয়েছি। আশা করি শিগগিরই তাদের (ভারত) উত্তর পাব। এরপর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে এখনো উদ্বেগ প্রকাশের সময় হয়নি উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘কারণ, এখনো খাল খনন করা হয়নি। তবে জমি অধিগ্রহণ পর্যায়ে আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সফল হওয়ার আশা

রোহিঙ্গা ইস্যুতে অপর এক প্রশ্নের জবাবে পাররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যেখান থেকে এসেছে সেখানেই ফিরে যাবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে সেটি ইতিবাচক। আশা করি আমরা সফল হবো।’

তবে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে স্বল্প সময়ে পাঠানো সম্ভব নয় উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র সচিব। বলেন, ‘তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে পাঠানোর প্রচেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে ১১/১২শ রোহিঙ্গা যাচাইবাছাই চলছে। এছাড়া একই পরিবারের সদস্য এবং একই এলাকার অনেকগুলো লোক পাঠানোর ওপর সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টির ওপরও সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

এর আগে দুপুরে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/এমএইচ/ডিএম)