শিবচর ট্রাজেডি: দুই কন্যাকে দেখতে বাড়ি এসেছিলেন ব্যাংকার রাশেদ

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:৫০

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ছুটিতে দুই কন্যাকে দেখতে এসেছিলেন ব্যাংকার রাশেদ আলী। কিন্তু আর ফিরে যাওয়া হলো না কর্মস্থ্যলে। মাদারীপুরের শিবচরের এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস দুর্ঘটনায় রাশেদ আলী (৩৮) নিহত হন। রবিবার সকাল ৮টার দিকে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাসে থাকা রাশেদ আলীসহ ১৯ জন নিহত হন।

নিহত রাশেদ আলী ঢাকার মতিঝিল শাখার ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এবং দৈনিক কালের কণ্ঠের বশেমুবিপ্রবি প্রতিনিধি শামস জেবিনের দুলাভাই। তিনি সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার সখিপুর এলাকার বাসিন্দা। তার পরিবারে স্ত্রী সাহানাজ ইয়াসমীন সাথী ও সারা (৮) এবং সাফা (৫) নামে দুই কন্যা রয়েছে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাশেদ আলী ছুটি কাটিয়ে খুলনার সোনাডাঙ্গা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাকে বহন করা ইমাদ পরিবহনের বাসটি মাদারীপুরে শিবচর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে ১৪ জন মারা যান এবং পরবর্তী সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজন মারা যান।

নিহতের শ্যালক শামস জেবিন বলেন, ‘দুলাভাই ছুটিতে তার আদরের দুই কন্যাকে দেখতে বাসায় এসেছিলেন। রবিবার নিজ কর্মস্থলে ফেরার পথে বাস দুর্ঘটনায় মারা যান। আমার আপার ছোট ছোট দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আমরা চাই সড়ক নিরাপদ হোক। আমার মতো কেউ এভাবে আর স্বজন না হারাক।

তার আরেক শ্যালক বলেন, ‘মাঝে মাঝেই সড়কে মৃত্যুর মিছিল হয়। কিন্তু কারো বিচার হয় না। যে কারণে দুঘর্টনা ঘটলেও প্রভাবশালী মালিকরা আইনের ঊর্ধ্বে থাকে। আামি চাই আমার দুলা ভাইয়ের মতো যারা অকালে প্রাণ হারালো তাদের কঠোর বিচার হোক। তাহলে আমাদের শান্তি হবে। আর দুই সন্তানকে যেভাবে রেখে গেছেন, সরকার কাতের দিকে নজর দেবেন বলে আশা রাখি।’

মাদারীপুর জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল ৮টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাসটি। এ ঘটনায় নারীসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯মার্চ/এলএ)