রপ্তানি আয় বাড়াতে নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৩, ১২:২৭ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩, ১৫:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশের রপ্তানি আয় বাড়াতে নতুন নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে নতুন বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের খারাপ দিকের সঙ্গে বাজার সৃষ্টির একটা সুযোগও সামনে আসছে। ওই জায়গাটা আমাদের ধরা দরকার।

সোমবার গণভবনে রপ্তানি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির ১১তম সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, পণ্য রপ্তানি কয়েকটার মধ্যে ধরে থাকব, সেটা না। পণ্য বহুমুখীকরণ, কোন দেশে কোনটা প্রয়োজন আমরা সেটা উৎপাদন করব এবং রপ্তানি করব। রপ্তানি পণ্যের বহুমুখী করা একান্তভাবে প্রয়োজন। আমাদের নতুন নতুন বাজার খুঁজতে হবে।

বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বহু দেশ আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন পণ্য এখন নিতে চায়, কিনতে চায়। আমরা সেটা করতে পারি।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সাল নাগাদ মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া বিদ্যমান রপ্তানি নীতিমালার সংশোধন, পরিবর্তন ও উন্নয়ন করে আরো চার কিংবা পাঁচ বছরের জন্যে নতুন রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়নেরও আহ্বানও জানান। বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরনের পর বাংলাদেশে যেসব চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ তৈরি হতে পারে তা বিশ্লেষণ করে নতুন রপ্তানি নীতি গ্রহণ করা উচিত।

তথ্য-প্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে। এর চাহিদাটাও বাড়ছে।

দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের এখানে বিনিয়োগও আসছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটর গাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে।

বক্তব্যে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন শেখ হাসিনা। বলেন, খাদ্যপণ্য রপ্তানি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেকগুলো দেশ আমার কাছ থেকে খাদ্যপণ্য নিতে চাচ্ছে।

ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/ইএস