জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৩, ১৭:৫০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

এক কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৬৭৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট (সাময়িক বরখাস্ত) সুধাংশু শেখর বাড়ই ও তার স্ত্রী তুলসী রানী বাড়ইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে খুলনা  দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়। সোমবার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

 

দুদকের একটি সূত্র জানায়, সুধাংশু শেখর বাড়ইয়ের  বিরুদ্ধে দুদকের দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে এক কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার ৮২৩ টাকার অবৈধ সম্পদ গোপনপূর্বক মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছে। এছাড়াও তিনি এক কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৬৭৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ তার স্ত্রী তুলসী রানী বাড়ইয়ের অনুকূলে হস্তান্তর করে  দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

 

দুদক বলছে, সুধাংশু শেখর বাড়ইয়ের স্ত্রী  তুলসী রানী বাড়ই তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৬২ লাখ  ৬৬ হাজার ৮২০ টাকার স্থাবর এবং ৭০ লাখ ২২ হাজার ৬০১  টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেছেন। সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে  সুধাংশু শেখর বাড়ইয়ের নামে স্থাবর ও অস্থাবরসহ সর্বমোট এক কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৪  টাকার সম্পদ পাওয়া যায়।

 

এছাড়া আসামি সুধাংশু শেখর বাড়ই তার অবৈধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ আড়াল করার অসৎ উদ্দেশ্যে তার নামে খুলনা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে ২০০৬ সালের ১০ ডিসেম্বর তারিখের  ৪২২৮ নম্বর  দলিলে, ২০০৭ সালের ৫ মার্চ  ৭৫৫ নম্বর দলিলে খুলনা মহানগরের  বয়রা মৌজার জে.এল নম্বর: ১২, খতিয়ান নম্বর: ৮৪৬, দাগের ০৮৯০ একর জমির উপর নির্মিত একটি তিন তলা ভবন এবং একটি চার তলা ভবন। আর  খুলনা সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের ২০১৮ সালের ১২ জুন ৩১৪৪ নম্বর দলিলে তার স্ত্রী তুলসী রানী বাড়াইয়ের নামে  হস্তান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এছাড়া আসামি তুলসী রানী বাড়ই ওই জমিসহ বাড়ি তার স্বামীর ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত জানা সত্বেও ওই সম্পদ হেবানামা মূলে গ্রহণপূর্বক নিজ দখলে রেখে একই আইনের ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক  তরুন কান্তি ঘোষকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

 

অভিযুক্ত সুধাংশু শেখর বাড়ই বাগেরহাট জেলার চিতলমারী থানার খলিশাখালী গ্রামের মৃত ভদ্রকান্ত বাড়ইয়ের ছেলে। তিনি ও তার স্ত্রী তুলসী রানী বাড়াই পরিবারের সঙ্গে খুলনা ছোট বয়রার ইসলামিয়া কলেজ রোডের ৪৪/১৬(খ) নম্বর বাড়িতে বসবাস করছেন।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এএ/কেএম)