বগুড়ায় টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৩, ১৯:৫৫ | আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৩, ২১:৫৭

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বগুড়ায় সদর উপজেলার নওদাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর একাংশে মাটি ভরাট করে নদীর উপর রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস)-কে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজা পারভীন এ জরিমানার আদেশ দেন। 

এসময় ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, আজকে টিএমএসএস-এর ইকোপার্কের মধ্যে করতোয়া নদীর সীমানা নির্ধারণের জন্য নির্ধারিত দিন ছিল।  আমরা সীমানা চিহ্নিত করার জন্য এখানে এসেছি। গত শনিবার এই জায়গায় এসে আমি যেটা দেখে গিয়েছিলাম এখানে ময়লা আবর্জনা বা বালু দিয়ে ভরাটের যে কার্যক্রম চলছিল সেই এলাকার কার্যক্রমটা আমি বন্ধ রাখতে বলেছিলাম। কারণ এই জায়গাটা আমার কাছে মনে হয়েছে এটা করতোয়া নদীর জায়গায়।  পরবর্তীতে টিএমএসএস কর্তৃপক্ষ নির্বাহী পরিচালক এসে জানালেন- এটা উনাদের নিজস্ব জায়গা। সেই প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে এটা পরিমাপ হবে।  এরপর জায়গা চিহ্নিত হয়ে গেলে তিনি তার কাজ করবেন বা সেটা পরের বিষয়। এই বিষয়ে তিনি একটি অঙ্গীকারনামাও দিয়েছেন যে সীমানা নির্ধারণ সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।  আমি সোমবার এসে যেটা দেখলাম এখানে আমাদের করতোয়া নদীর মূল যে স্রোতটা, সেই স্রোতের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করে একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যেটি গতদিন আমাকে বলা হয়েছিল, এই পাড়ের জনগণ যারা তাদের সুবিধার্থে তারা করেছে।  কিন্তু আমি সরেজমিনে সবার কথা শুনে দেখলাম, নদী পারাপারের জন্য তারা এটা করেনি। নদীর স্রোত বন্ধ হোক এটা কেউ চায় না। কাজেই এটা ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে আমাকে। পরবর্তীতে জনগণের কাছ থেকে জানতে পেরেছি এটা টিএমএসএস কর্তৃপক্ষই বালু ভরাট করে রাস্তা করেছে। পাশাপাশি আমি শনিবার যে নির্দেশনা দিয়েছিলাম কাজ বন্ধ থাকবে, আমি এসে দেখতে পেলাম সেটিরও ব্যত্যয় হয়েছে। এখানে ময়লা আবর্জনা দিয়ে ভরাট চলছে। পাশাপাশি মাটি এবং বালু ভরাটের কার্যক্রম করা হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা প্রদানে ব্যর্থ হলে টিএমএসএসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র সহকারী পরিচালক নজিবর রহমান তিন মাসের কারাভোগ করবেন।

এদিকে টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ইউএনও মহোদয় চিঠি দিয়েছেন নদী পরিমাপ করার জন্য। আমি তাকে এর আগে একটা লিখিত দিয়েছি যে নদীর জমিতে এক ইঞ্চিও যদি আমরা সেখানে অন্তর্ভুক্ত হই সেক্ষেত্রে যে কোন শাস্তি দেবেন, সেই শাস্তি মাথা পেতে নেব।  নদীর উপর যে রাস্তা করা হয়েছে এটি একটি সাময়িক রাস্তা।  এই অঞ্চলের কিছুসংখ্যক মানুষ পারাপারের জন্যই সেই রাস্তা করেছে। এই রাস্তা টিএমএসএস-এর সাথে নয়। টিএমএসএস-এর বিপক্ষে। অর্থাৎ ওই পাশে টিএমএসএস-এর জমি। এই রাস্তা যদি থাকে তবে পানি প্রবাহ বন্ধ হলে ওই দিকেই ভেঙে যাবে।  সুতরাং এই রাস্তা টিএমএসএস করেনি।  ফলে এই রায় টিএমএসএস-এর জন্য হতে পারে না।  এজন্য ইউএনও মহোদয়কে রায় স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এলএ)