ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন: ব্রয়লার মুরগির পাইকারি ও খুচরা দামে অসংগতি

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৩, ২২:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস

ব্রয়লার মুরগির পাইকারি ও খুচরা দামে বড় অসংগতি পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এছাড়া বাজার পর্যবেক্ষণ ও অভিযানের ভিত্তিতে বিভিন্ন অনিয়ম পেয়েছে অধিদপ্তর।   

এসব বিষয় নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে সব অসংগতি তুলে ধরা হয়। এছাড়াও বেশ কিছু সুপারিশ পাঠানো হয়।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন ব্যয় করপোরেট পর্যায়ে ১৩৫-১৪০ টাকা। প্রান্তিক খামারি পর্যায়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বেচা হচ্ছে ২৫০-২৬০ টাকায়। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দোকানে মূল্য তালিকা টানানো বাধ্যতামূলক হলেও তা মানা হচ্ছে না। পাইকারি পর্যায়ে রসিদ বা ক্যাশ মেমো সংরক্ষণ করা হয় না একই সঙ্গে ক্রেতাকেও রসিদ দেওয়া হয় না। এছাড়া ওজনে কম দেওয়াসহ পাইকারি ও খুচরা দামে অনেক বেশি ব্যবধান রয়েছে। 

ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণে অধিদপ্তরের সুপারিশ:

১. ব্রয়লার মুরগির যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণে অনিয়ম খতিয়ে দেখতে প্রতিযোগিতা কমিশনকে অনুরোধ করা যেতে পারে। 

২. বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে ব্রয়লার মুরগির যৌক্তিক দাম নিয়ে গবেষণামূলক প্রতিবেদন প্রদানের অনুরোধ।

৩. প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে ব্রয়লার মুরগির মূল্য নির্ধারণের উদ্যোগ গ্রহণ।

৪. পোলট্রি ফিডের মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা গ্রহণ।

৫. অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি বৃদ্ধি করা।

৬. বাজার কমিটি কর্তৃক নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

৭. বাজার অস্থিতিশীল করার প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এসএম)