বিশ্বে বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম উন্নয়ন ও প্রগতির পথনির্দেশক: এনামুল হক শামীম

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৩, ২৩:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। এই তিন সত্ত্বাকে ভাগ করা যায় না। বিশ্বে বঙ্গবন্ধু সংগ্রাম উন্নয়ন ও প্রগতির পথনির্দেশক।

সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব: একুশ শতকের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শামীম এসব বলেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই তিনি আওয়ামী লীগকে তিলে তিলে গড়ে তুলে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ভূখন্ড। পেয়েছি নতুন পরিচয়। তাঁর রাষ্ট্রদশর্নের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো ছিল বাঙালি জাতীয়তা বাদের ভিত্তিতে মানবতাবাদী অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শোষণমুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এবং বৈষম্যহীন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা। তাঁর জীবনদর্শন ও রাজনৈতিক দর্শনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে উন্নয়ন দর্শন। তিনি সর্বদার প্রগতির সংগ্রামে কাজ করে গেছেন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বঙ্গবন্ধুর পলিটিক্যাল ফিলসফি বা ১৯৭২ সালের মূল সংবিধানের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে- “আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হইবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এমন এক শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজের প্রতিষ্ঠা- যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত হইবে।” সংবিধানের শীর্ষে সংযুক্ত প্রস্তাবনায় এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শনের মৌলিক উপাদানগুলো পাওয়া যায়। বঙ্গবন্ধু বিশ্বে শোষিত বঞ্চিত মানুষের নেতা ছিলেন। যেখানেই অন্যায় অবিচার সেখানেই প্রতিবাদ করেছেন।

এনামুল হক শামীম বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত বিভিন্ন ভাষণ, আওয়ামী লীগের ঘোষিত কর্মসূচি, ১৯৭০’র নির্বাচনী ইশতেহার, ১৯৭২’র মূল সংবিধান, ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনায় তাঁর গৃহীত পদক্ষেপ, তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ‘কারাগারের রোজনামচা’ ‘আমার দেখা নয়া চীন’ গ্রন্থসহ বিভিন্ন গবেষণাধর্মী পত্রিকা ও নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে তাঁর উন্নয়ন দর্শন সম্পর্কিত চিন্তা-চেতনা, পরিকল্পনা ও প্রয়োগিক দিকগুলো ফুটে ওঠে।

উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন ছিল বাংলার স্বাধীনতা এবং গণমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি পরস্পর পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সাম্যবাদে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কালজয়ী বটবৃক্ষের নাম। ঘাতক তাকে হত্যা করেও বাঙালি ও বিশ্বের শোষিত বঞ্চিত মানুষের হৃদয় থেকে তাকে মুছে ফেলতে পারেনি। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী। ৫০ আগের বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে এখন বিশ্বে গবেষণা হয়। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপ নিচ্ছে। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।

জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.নুরুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি কামাল চৌধুরী, এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মঞ্জুরুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার।

(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/জেএ/কেএম)