গত রমজানের ৫০০ টাকার খেজুর এবার ৮৫০, মুড়িতে বাড়ল ৪০

প্রকাশ | ২১ মার্চ ২০২৩, ১৭:০৮

পুলক রাজ, ঢাকাটাইমস

রমজান মাস আসন্ন। প্রতি বছর রমজান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় মানুষ। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। রমজান শুরুর আগেই হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। রমজানের প্রায় দুদিন বাকি। গত রমজানের তুলনায় এবার মান ভেদে খেজুরের কেজিতে বেড়েছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি মুড়িতে বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।  

গত বছরের আগস্টের পর থেকেই দফায় দফায় নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। এখন আবার নতুন করে  খেজুর ও মুড়ির দামও বেড়েছে। এসব পণ্য সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

সরজমিনে রামপুরা, মালিবাগ, শান্তিনগর, হাতিরপুল বাজারসহ  রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কালমি মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের রমজান মাসে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক বছরে ৩৫০ টাকা বেড়েছে প্রতি কেজিতে ।

এছাড়া, মাবরুম খেজুর ৮০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বেড়ে ১১০০ টাকা, আজোয়া খেজুর ২০০ টাকা বেড়ে ৯০০ টাকা, সৌদি মরিয়ম খেজুর ৩০০ টাকা বেড়ে ১০০০ টাকা, মেডজুল খেজুর ৪০০ টাকা বেড়ে ১৪০০ টাকা, বরই খেজুর ২৫০ টাকা বেড়ে ৪৫০ টাকা, বারারি ৬০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে দেশি খোলা মুড়ি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ছিল। প্যাকেট আল্ট্রা জেষ্টা মুড়ি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত রমজানে ১০০ টাকা কেজি ছিল।

 

শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, রমজান মাসে খেজুর ছাড়া চলে না। কিন্তু এ বছর এই সাহস পাচ্ছি না। খেজুর নিয়ে চিন্তায় পরে গেছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রমজান মাসে মানুষকে কম দামে খাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো। আমাদের দেশে এর উল্টো, রমজান এলেই বেশি দামে কিনে খেতে হয়।

মহানগর প্রজেক্ট এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা টাইমসকে বলেন, রমজানে খেজুর ও মুড়ি চলে বেশি। এবং আমাদের দেশে এই দুই পণ্যের পাশাপাশি সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওরা মানুষকে কেন যে এতো কষ্ট দেয়! ব্যাপারটা আসলে দুঃখজনক।

রামপুরা এলাকার খেজুর বিক্রেতা মো. শামসুল আলম ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমরা বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করছি।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমরা মাঠে আছি। বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আমারা পাগলা ঘোড়ার মতো দৌঁড়াচ্ছি। বাজারের প্রতিটি পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনার চেষ্টা চলমান। বাজার সিন্ডিকেটদের আবারও বলছি, আপনারা যা করছেন করেন, আপনারা রমজানে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/পিআর/কেএম)