বগুড়ায় জরিমানায়ও থামছে না ‘ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ’!

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৭ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:৫৭

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বগুড়ায় করতোয়া নদীর প্রবাহ বন্ধ করে মাটি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) বিরুদ্ধে। তাদেরকে দশ লাখ টাকা জরিমানা করেও থামানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বগুড়া সদর উপজেলায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত মম ইন ইকোপার্কের ভেতরে তিন শতাধিক নারী শ্রমিক মাটি কাটার কাজে অংশ নেন। 

জেলা প্রশাসনের পক্ষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে যান বগুড়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাছিম রেজা। এসময় সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা, র‍্যাব, এপিবিএন ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তবে পরিদর্শন শেষে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তারা।

স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা এখানে গোসল করতাম। পেপার মিলের বর্জ্য ফেলার কারণে নদী মারা গেছে। যেটুকু নদীর অস্তিত্ব আছে সেটিও টিএমএসএস দখল করে বেআইনিভাবে রাস্তা নির্মাণ করছে। চোখের সামনে করতোয়ার মরণ দেখছি আমরা।’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক রুমি বলেন, ‘জরিমানা করা সত্ত্বেও মঙ্গলবার সকাল থেকে তিন শতাধিক নারী শ্রমিক এখানে মাটি কাটার কাজ করে। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তারা আমাদের কোনো কথা শোনেন না। বরং আমাদের উল্টো নানাভাবে হুমকি দেয়।’

ফের মাটি কাটা প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা টিএমএসএসের নির্বাহী পরিচালক হোসনে আরা বেগমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। তিনি দাবি করেছেন, আজ যেখানে মাটি কাটার কাজ হয়েছে সেটি টিএমএসএসের জায়গা। তবে আমরা বলেছি, ওই স্থানে ফের পরিমাপ করা হবে। যদি প্রমাণ হয় নদীর জায়গায় কাজ করছেন, তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এর আগে সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নওদাপাড়া এলাকায় করতোয়া নদীর একাংশে মাটি ভরাট করে নদীর ওপর রাস্তা তৈরি করার অভিযোগে টিএমএসএসকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও ফিরোজা পারভীন। পরে জরিমানা পরিশোধ না করায় টিএমএসএসের মালিকানাধীন মম ইন ইকোপার্কের ব্যবস্থাপক জাকিরুল ইসলাম জাকিকে কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালত।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এআর)