শিশুটিকে ইকবাল রোড থেকে মুখ চেপে সিএনজিতে তুলে নেয় ধর্ষকরা

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২৩, ১৪:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর আদাবরের ঢাকা উদ্যান লেগুনা স্ট্যান্ডে শিশু গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তার নাম মো. সেলিম। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর বাড্ডা থানার খালপাড় হাজীপাড়া রোড এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় জব্দ করা হয় অপহরণে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা।

বুধবার দুপুরে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১৪ মার্চ মধ্যরাতে আদাবর থানার বেড়িবাঁধের পাশের উড়াল পাখি লেগুনা স্ট্যান্ডের দুই ব্যক্তি এক শিশুকে তুলে এনে ধর্ষণ করে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বাদী হয়ে  আদাবর থানায় একটি মামলা করেন। ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থানা তদন্ত শুরু করে।

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ইকবাল রোড থেকে সিএনজিচালক ও তার এক সহযোগী শিশুটিকে ফুসলিয়ে ঘটনাস্থলে আনে। তাই ঘটনাস্থলের আশপাশে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একটি সন্দেহজনক সিএনজিকে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া ভুক্তভোগীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী ঢাকা উদ্যান, নবোদয় হাউজিং, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, ইকবাল রোড এলাকার ২৩টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সন্দেহজনক সিএনজির নম্বর শনাক্ত করা হয়। প্রযুক্তির সহায়তায় সিএনজি চালকের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে চালক সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তার সহযোগী পলাতক রয়েছে। তার বিস্তারিত নাম পরিচয় পেয়েছি। তাকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।'

ঘটনার দিন শিশুটি বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে একা রাস্তায় হাঁটছিল উল্লেখ করে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বলেন, 'গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় বড় বোনের সঙ্গে ঘুরতে বের হয়। ঘুরতে ঘুরতে সে রাত নয়টার দিকে টাউন হল এলাকায় আসে। টাউন হল এলাকায় কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর তার বড় বোনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তার বড় বোন তাকে ফেলে অন্য বান্ধবীদের সঙ্গে চলে যায়। তখন শিশুটি একা হাঁটতে হাঁটতে ইকবাল রোডের দিকে যায়। আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে সিএনজি চালক সেলিম ও তার সহযোগী শিশুটিকে ফুসলিয়ে সিএনজিতে তোলে। এ সময় শিশুটি ডাক-চিৎকার করলে মুখ চেপে ধরে ঘটনাস্থলে আনা হয়। প্রথমে পলাতক আসামী জোরপূর্বক ধর্ষণ করে, পরে সেলিম ধর্ষণ করে। পলাতক আসামী পুনরায় শিশুটিকে ধর্ষণ করে। উপর্যুপরি ধর্ষণের ফলে শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয় ও তার ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। পরে শিশুটিকে ছেড়ে দিলে পাঁয়ে হেটে শিয়া মসজিদ এলাকায় গেলে বড় বোনের সঙ্গে দেখা হয়। বোন তাকে দ্রুত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। বর্তমানে শিশুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এসএস/ইএস