বাউফলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় প্রাণ গেল দুই স্কুলছাত্রের

প্রকাশ | ২২ মার্চ ২০২৩, ২২:৪০ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩, ০০:২০

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলায় দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে কুপিয়েছে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্বজনদের দাবি, উপজেলার পাঙ্গাসিয়া এলাকার একটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা এ হামলা চালিয়েছে।

নিহত দুজন হলো- পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ইন্দ্রকূল এলাকার বাসিন্দা মিরাজ মোস্তফা আনসারীর ছেলে নাফিজ মোস্তফা আনসারী (১৪) ও একই এলাকার বাবুল হাওলাদারের ছেলে মারুফ হাওলাদার (১৪)।  এরা উভয়ই ইন্দ্রকূল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ক্লাস শেষ করে বিকাল ৪টার দিকে তিনি লাইব্রেরিতে গিয়ে বসেন। কিছুসময় পর হঠাৎ করে দুই শিক্ষার্থী এসে জানায় নাফিজ, মারুফ ও সিয়ামকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বাইরে উত্তর দিকের একটি ব্রিজের ওপর মারধর করছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে সেখানে তাৎক্ষণিক গেলে জানতে পারে পাশের একটি ফার্মেসিতে নাফিজ, মারুফ ও সিয়াম গেছে। সেখানে গিয়ে নাফিজ ও মারুফের পেটে গজ কাপড় পেচানো দেখে দ্রুত বাউফল হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের চিকিৎসক সিয়ামকে ভর্তি রেখে বাকি দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত বরিশাল নিতে বলেন। বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাফিজ ও মারুফকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসক মোহাম্মদ কবির আহম্মেদ বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও নিহত নাফিসের স্বজন আনিসুর রহমান হাওলাদার বলেন, কারা কীভাবে কেন হামলা করেছে- তা এলাকায় না গিয়ে নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। তবে শুনেছি, পাঙ্গাসিয়া এলাকায় একটি কিশোর গ্যাং রয়েছে। তারাই এ হামলা চালিয়েছে।

নিহত মারুফের মা আসমা বেগম বলেন, বাসায় বসে তিনি ছেলের ওপর হামলার খবর পান। কেন এ হামলা চালিয়েছে- তা বলতে পারছি না। ওর সাথে কারও বিরোধ রয়েছে বলেও জানতাম না। আমি এ হত্যার বিচার চাই।

হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম বলেন, নিহত দুই ছাত্রের মরদেহ হাসপাতালের লাশ রাখা কক্ষে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশকে জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২মার্চ/এলএ)