সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ: সেই পুলিশ সুপারকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৭:১০ | আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৮:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের সাক্ষরে বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন সবশেষ বাগেরহাট পিবিআইয়ে কর্মরত ছিলেন। সহকর্মীর ধর্ষণের মামলার পর গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাগেরহাট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় মো. মোক্তার হোসেনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশটি বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (বি.এস.আর) পার্ট-১ এর বিধি-৭৩ মোতাবেক প্রত্যাহার করা হলো। তার সাময়িক বরখাস্তকাল কর্তব্যকাল হিসেবে গণ্য হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

এদিকে ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল নারী পরিদর্শককে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি পান এসপি মোক্তার হোসেন। তিনি (মোক্তার) মামলার বাদীকে বিয়ে করায় আদালত তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

মামলার এজাহারে যা ছিল

২০২১ সালের ১৩ আগস্ট পিবিআইয়ের এসপি মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ওই নারী পরিদর্শককে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মামলা করেন। পরে আদালত ডিএমপির উত্তরা পূর্ব মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। উত্তরা পূর্ব মডেল থানার পরিদর্শক আলমগীর গাজী মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করেন।

মামলায় ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, মোক্তার হোসেন জাতিসংঘের শান্তি মিশনে পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার হিসেবে ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে যান। আর বাদী আগে থেকে মিশনের সদস্য হিসেবে সেখানে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর বাদীকে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন। এই কথা কাউকে না বলার জন্য চাপ দেন। এরপর থেকে বিভিন্ন কৌশল করে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে সুদান ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন।

মামলায় ভুক্তভোগী নারী কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, তিনি দেশে ফিরে এসপি মোক্তারের বাসায় গিয়ে বিয়ের কাবিননামা করার তাগিদ দেন। কিন্তু এসপি মোক্তার তাতে অস্বীকৃতি জানান এবং তাকে মারধর করেন।

ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/এসএস/ইএস