বাউফলে জোড়া খুন: সহপাঠীদের বিক্ষোভ
প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৯:১৮
সিনিয়র জুনিয়রকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দুই ১০ম শ্রেণির পরীক্ষার্থী খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে সহপাঠীরা। খুনের ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও খুনিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
এর আগে বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা ইন্দ্রকুল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী মো. নাফিজ মোস্তফা আসনারী (১৫) ও মো. মারুফ হোসেন (১৫) ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে একই বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র সায়েম, রায়হান, হাসিবুল, নাঈম হোসেন, নাঈম মিয়া। নাফিজ উপজেলার সূয্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল গ্রামের সিরাজ মোস্তফা আনসারির ছেলে ও মারুফ হোসেন একই ইউনিয়নের বাবলু হাওলাদার ছেলে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সূয্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, পুরো গ্রাম যেন শোকে স্তব্দ। সবাই একটি কথাই বলছে, কি হতে কি হয়ে গেল। তরতাজা দুটি কিশোরের প্রাণ এভাবে খুন হলো। নাফিজ ও মারুফের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় তাদের স্বজনদের কান্না পুরো গ্রাম যেন ভারি হয়ে গেছে।
নাফিজের মামাতো ভাই শওকত হোসেন কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, বৃহস্পতিবার ছিল নাফিজের জন্মদিন। অথচ এই দিনেই কবরে চিরদিনের মতন শুয়ে দিতে হবে এই হাত দিয়ে ভাবতে পারছেন কত কষ্ট , কি হবে লিখে।
সহপাঠী শিহাব উদ্দিন বলেন, নাফিজ, মারুফ আমি সব সময় একই বেঞ্চে বসতাম। গতকালও এক সঙ্গে বসে কথা বলেছি। ওদের মৃত্যু আমি কোনভাবেই মানতে নিতে পারছি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, নাফিজ ও মারুফ দুজনই মেধাবী ছিল। তবে হত্যার ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল মামুন বলেন, দোষীদের গ্রেপ্তার করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। গোয়েন্দা বিভাগসহ পুলিশের কয়েকটি ইউনিট মাঠে কাজ করছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/এলএ)