বিএনপি অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৩, ১৯:৩৮

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন দেশে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার বিকালে ফরিদপুর সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ মন্তব্য করেন কাদের। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামিম হক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনের চোরা বালিতে আটকে গেছে, তারা ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু করে আর পেনপেনানিতে শেষ করে। বিএনপি এখন পেনপেনানিতে এসে গেছে। দৌড়াতে দৌড়াতে পদযাত্রা, তারপর মানববন্ধনে এসেছে। যে আন্দোলনে জনগণ নেই, সেই আন্দোলন কোনো দিনই সফল হয় না।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ছিল নেতাকর্মীদের বাঁচানো, এখন তাদের টার্গেট দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা। তারা ব্যর্থ। তাদের অবৈধ দলের অবৈধ মহাসচিব। তাদের কোনো সম্মেলন হয় না। আমি তিনটি সম্মেলন ফেস করেছি।’

‘বিএনপি তাদের দলে গণতন্ত্রের চর্চা করে না, তাদের দলেই তো গণতন্ত্র নেই। সেই দল আবার গণতন্ত্রের কথা বলে। তাদের শীর্ষ নেতারা সাজাপ্রাপ্ত। মানুষ কীভাবে তাদের গ্রহণ করবে । তাদেরকে আমাদের প্রতিহত করতে হবে। আমরা জোর করে আক্রমণ করবো না, তবে গায়ে পড়লে ছাড় দেওয়া হবে না।’ বলেন কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফরিদপুরের নতুন কমিটির কাছে আমার নির্দেশ হলো দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখবেন, আওয়ামী লীগ যদি আওয়ামী লীগের শুত্রু না হয়, তাহলে বাইরের শক্র দলের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। আমরা ঘরের শত্রু বিভীষণ, ফরিদপুরে অনেক ঘটনা অনেক দুর্ঘটনা রয়েছে। অনেক দুঃস্বপ্নের স্মৃতি রয়েছে। এই ফরিদপুর (বৃহত্তর ফরিদপুরের গোপালগঞ্জ মহকুমা) জাতির পিতার জন্মভূমি।’

 

কাদের বলেন, ‘আমি ফরিদপুরের নেতাকর্মীদের বলবো এ জেলাকে পরগাছা মুক্ত করুন, নিজেদের অস্তিতের স্বার্থে আপনাদের জেলাকে পরগাছামুক্ত করবেন। ঘরের লোকের কলহ বিবাদ দূর করুন।’

 

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন খুব বেশি দূরে নয়, শুধু ইউপি নির্বাচনে জয়লাভ করলে হবে না। জাতীয় নির্বাচনে সব কয়টি আসনে জয়ী হতে হবে। এজন্য এখন থেকে কাজ শুরু করুন।’

নিজেদের মধ্যে বিভেদ থাকলে মূল লক্ষ্য পূরণ হবে না। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ যেন গ্রাস না করে। জাতীয় নির্বাচনে দলের মধ্যে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকবে, সেটা কোনো অন্যায় নয়। বরং দলের জন্য কল্যাণের। দলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিই দলের মনোনয়ন প্রাপ্ত হবেন। এটা নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে দলের ক্ষতি করবেন না।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইসতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাব বোস, আওয়ামী লীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন, শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা এ.কে আজাদ, শ্যামল ব্যানার্জী, উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ।

এ সময় আরো ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/কেএম)