নোয়াখালীতে মসজিদে বিস্ফোরণ, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৩, ২১:১৮

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর আগে বুধবার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক নমুনা সংগ্রহ করেছে র‌্যাবের একটি ডিসপোজাল দল।

বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া ৩টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদসহ তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা।

তদন্ত কমিটির প্রধান তামান্না মাহমুদ জানান, বিকাল পৌনে ৬টা এখনও তিনি কমিটির অন্য সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় মসজিদে থাকা এবং স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলছেন। মসজিদে মুসল্লিদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কোন প্রকার শঙ্কা ছাড়া স্থানীয় লোকজন মডেল মসজিদটিতে নামাজ পড়তে আসছেন এবং নামাজা শেষে চলে যাচ্ছেন। 

এর আগে বুধবার রাতে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে র‌্যাবের ডিসপোজাল টিমের উপ-পরিচালক মেজর মসিউর বলেন, ঘটনাস্থলে বোমা বা ককটেল জাতীয় কোন বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের কক্ষ থেকে আলামতগুলো পরীক্ষার পর বিস্ফোরণের সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নরমাল কোন বস্তু থেকে এ বিস্ফোরণ হয়েছিল।

স্থানীয় মুসল্লিরা বলেন, ওই রাতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর মসজিদে দায়িত্বে থাকা লোকজন দ্বিতীয় তলায় গিয়ে মোয়াজ্জিন ও খাদেমের কক্ষে আগুন জ্বলতে দেখেন। পরে সবার সহযোগিতায় তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা কাজ করলেও র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের পরিদর্শন ও এটি নরমাল বিস্ফোরণ প্রতিবেদনের পর সেই শঙ্কা কেটে গেছে। বৃহস্পতিবার ফজর, জহুর ও আছর নামাজের সময় মুসল্লিদের উপস্থিতি ভালো ছিল।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার আলীপুর এলাকায় নির্মিত উপজেলা মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় মোয়াজ্জিন ও খাদেম থাকার কক্ষে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কক্ষটিতে মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের কেউ না থাকায় হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ওই কক্ষের দুইটি দরজা, দুইটি জানালা, মেজে ও উপরের সিলিং এর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ঘটনার খবর পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর সেখানে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ও গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/এলএ)