কদমতলীতে জোড়া খুন: লাইট জ্বালানো নিয়ে ঝগড়া, অতঃপর হত্যা

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০২৩, ২৩:৩০ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে একটি জোড়া খুনের মামলার অভিযোগে ছয় বছর পরে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেটিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো দক্ষিণ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মোহাম্মদ পিয়ার আলী। বৃহস্পতিবার রাতে পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের একটি সূত্র ঢাকাটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সংস্থাটির দাবি দীর্ঘ ছয় বছর পরে আসামি পিয়ার আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

পিবিআই খবর পেয়ে রাজধানীর কদমতলী থানার পাটেরবাগ পাটেরবাগের কথা এন্টারপ্রাইজ নামের প্রিন্টিং প্রেসের সামনে একটি অভিযান চালায়। অভিযানে পিয়ার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পিবিআই বলছে, কদমতলী থানার একটি হত্যা মামলার অভিযুক্ত সোহেল ও ভুক্তভোগী ইকবাল হোসেন মামলার ঘটনাস্থল কদমতলী থানার পাটেরবাগের কথা এন্টারপ্রাইজ নামক প্রিন্টিং প্রেসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তারা  একইসঙ্গে রাত্রি যাপন করতেন। ঘটনার আগে রুমে লাইট জ্বালানো নিয়ে  ভুক্তভোগীদের সাথে অভিযুক্তদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আসামি মো. পিয়ার আলীসহ অন্য আসামিরা মারধর করে ভুক্তভোগী ইকবালকে ঘটনাস্থলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন এবং সোহেলকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।’

পিবিআইয়ের দাবি,  ‘ঘটনার পরে গাড়িযোগে আসামি মো. পিয়ার আলী অন্য আসামিদের সহায়তায় ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মৃত ইকবালের লাশ রূপগঞ্জ থানার বরপা এলাকায় গাছের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ইকবালের লাশ উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা করে। এই অপমৃত্যু মামলার সুরতহাল প্রতিবেদন অনুসারে রূপগঞ্জ থানায় নিহত ইকবালের স্ত্রী পারভীন আক্তার বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। প্রকৃতপক্ষে আসামি মো. পিয়ার আলী অন্য আসামিদের সহায়তায় ইকবাল ও সোহেলকে হত্যা করেন। পরবর্তীতে পিবিআই ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. কবির হোসেন মামলার তদন্তভার পান। তিনি আসামি গ্রেপ্তারে তৎপর হন।’

(ঢাকাটাইমস/২৩মার্চ/এএ/কেএম)