ব্রিজ নির্মাণের চার বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, ভোগান্তিতে ৫ গ্রামের মানুষ

প্রকাশ | ২৪ মার্চ ২০২৩, ১১:০৭

মো. ইমরান মাহমুদ, জামালপুর

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় চার বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় কাজে লাগেনি সেটি। ফলে সরকারিভাবে প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করে নির্মিত ব্রিজটি অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। উদ্বোধনের প্রায় চার বছর হলেও এ ব্রিজে সুফল পাচ্ছেন না কেউই।

ব্রিজ নির্মাণের চার বছরেও রাস্তা নির্মাণে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ওই এলাকার মানুষ। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিলো বন্যায় তা ভেঙে গেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উপজেলার নাংলা ইউনিয়নের বাগুরপাড়া এলাকার কনক রাইচ মিলের পাশে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, চার বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ হলেও এক পাশের সংযোগ সড়ক না হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছে তারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ৩৮ ফুট দৈর্ঘ্যের ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিলো প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজ নির্মাণের পরে এক পাশের সংযোগ সড়কে এক কোদাল মাটিও কাটা হয়নি। সংযোগ সড়ক না হওয়ায় ধানক্ষেতের আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাদের। ক্ষেতের আইল দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে ব্যথাও পেয়েছেন অনেকে। বর্ষাকালে আবার এ সুযোগ টুকুও থাকে না অনেক দূর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের। এতে মালামাল বহনে গুণতে হয়ে অতিরিক্ত টাকা। ব্রিজের সংযোগ সড়ক হলে বয়রাডাঙ্গা, উত্তর পাড়া ও বাগুরপাড়াসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে বলেও জানান স্থানীয়রা।

বাগুরপাড়া এলাকার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জিহাদ মিয়া বলেন, 'ব্রিজ হলেও ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে পারি না সড়ক না থাকায়। ধান ক্ষেতের আইল দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বৃষ্টির দিনে আইল দিয়ে যাওয়া যায় না খুব কষ্ট করে যেতে হয়। ব্রিজের সংযোগ সড়ক হলে আমাদের জন্য যাতায়াত খুব সহজ হবে। আমরা গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারব।

এলাকার আব্দুল গফুর জানান, ব্রিজের সংযোগ সড়ক না থাকায় চলাফেরা করতে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়। জনস্বার্থের সেতুটি দীর্ঘদিন জনদুর্ভোগে পরিণত হয়ে আছে। সবাই আশ্বাস দিলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি অসমাপ্ত কাজ।

কৃষক হামেদ আলী বলেন, 'সরকার আমাদের এ ধরনের ব্রিজ দিয়ে আরও লজ্জিত করেছে। চার বছর আগে ব্রিজ হলেও একদিনও চলতে পারি নাই এই ব্রিজ দিয়ে। আগেই ভালো ছিলো।

এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, 'রাস্তায় মাটি কাটা হয়েছিল বন্যায় ভেঙে গেছে। মাটি কাটার কোনো চিহ্নই তো নেই এ প্রশ্নে তিনি নিশ্চুপ হয়ে অফিস ত্যাগ করেন।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম মিঞা বলেন, সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪মার্চ/এসএ)