বাজার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০২৩, ২১:২১

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘রোজার সময় যেন দেশবাসীর কষ্ট না হয় সেজন্য বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন কমিটি ও সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। প্রশাসনের একার পক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। তাদের পাশাপাশি জেলা উপজেলা পর্যায়ের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও জনপ্রতিনিধিদেরও সহযোগিতার প্রয়োজন। ব্যবসায়ীরা যেন চড়া মূল্যে জিনিসপত্র না বিক্রি করে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তিনি ব্যবসায়ীদের সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করার আহবান জানান।’

শনিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘সামনে জাতীয় নির্বাচন, এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবে কিনা। আওয়ামী লীগের আমলে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছে। মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। গ্রামগঞ্জের প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে, আশপাশের সব রাস্তাঘাট পাকা হয়েছে, স্কুল কলেজে নতুন নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত কিভাবে দেশে গ্রেনেড হামলা, জ¦ালাও পোড়াও করেছে তা আপনারা জনগণের কাছে তুলে ধরবেন। আর শেখ হাসিনার সময়ে দেশে কি হয়েছে তা তুলে ধরবেন।’

বিএনপি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের দোকানে গেলে কাপড় কিনে তারা টাকা না দিয়ে চলে আসত। বাজার থেকে খাবার নিয়ে পয়সা দিত না। পেট্রোল পাম্প থেকে পেট্রোল নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যাওয়ার ঘটনাও রয়েছে। তাদের আমলে বোমাবাজির ভয়ে রাতে কেউ বের হতে পারত না। সাধারণ মানুষ যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠান করতে ভয় পেত কারণ সে অনুষ্ঠানে যদি বোমাবাজি হয়। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তাদের কাছে এই দেশ নিরাপদ নয়।’

মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘যে স্লোগানের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই জয় বাংলা স্লোগান তারা উচ্চারণ করে না। তারা বঙ্গবন্ধুকে এখনও দেশের জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। তাদের অনুষ্ঠানগুলোর ব্যানারে দেখবেন বঙ্গবন্ধু কিংবা শেখ হাসিনার কোন ছবি নেই। জয় বাংলা স্লোগানও নেই। সেই পাকিস্তানের স্লোগান জিন্দাবাদ তারা এখনো বলে থাকে।’

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সদর ও সাটুরিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/এলএ)