গরমে ডায়াবেটিস রোগীদের বাড়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪০ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৩, ১০:১১

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ক্রমশই দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে উঠছে ডায়াবেটিসের সমস্যা। এত বেশি হারে এই সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে যে, পরিসংখ্যান বলছে কয়েক বছরের মধ্যে প্রতি ঘরে একজন ডায়াবেটিস রোগী পাওয়া যাবে। চিকিৎসকদের মতে, শীত এবং গ্রীষ্ম- এই দুই মৌসুমেই ডায়াবেটিস রোগীদের বাড়তি সাবধানতা মেনে চলা জরুরি।

এরই মধ্যে শীত পেরিয়ে শহরে-গ্রামে গ্রীষ্মকাল প্রবেশ করেছে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে এই মৌসুমে সতর্ক থাকার কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। কারণ ডায়াবেটিস বশে না রাখলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি থাকে গরমে। এছাড়া গরমে এমনিতে শরীরে পানির পরিমাণ কমে যায়। ডায়াবেটিস থাকলে এই আশঙ্কা দ্বিগুণ হয়। তাই সুস্থ থাকতে মানতে হবে কয়েকটি বাড়তি নিয়ম।

শরীরচর্চা করুন

ডায়াবেটিসে ভুগছেন এমন অনেকেই নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। গরমে এ বিষয়টিতে আরও বেশি করে জোর দিতে হবে। অন্য সময়ে যদি ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করেন, গ্রীষ্মে চেষ্টা করুন আরও ১৫ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়ার। খুব ভালো হয় যদি ভোর ৫টায় উঠে সেই শরীরচর্চাটা করেন। এ সময় শরীরচর্চা করলে উপকার পাবেন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

ফাইবারযুক্ত খাবার খান

ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিনকার খাবার পাতে কী থাকছে, সেটাও অত্যন্ত জরুরি। ইচ্ছা করলেই সবকিছু খাওয়া যায় না। গরমে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে এ বিষয়ে। বাইরের খাবার, মিষ্টি, তেলে ভাজা- এই ধরনের খাবার থেকে পুরোপুরি দূরে থাকুন। বদলে ফাইবার আছে এমন খাবার বেশি করে খান। ওটস, ব্রাউন রাইস, গাজর, টমেটো পাতে রাখুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

ডায়াবেটিস থাকলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে পানি খাওয়ার বিকল্প কিছু নেই। বাইরে বের হলে সঙ্গে পানির বোতল রাখতে ভুলবেন না। প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর পানির বোতলে চুমুক দিন। পাশাপাশি পানি আছে এমন ফল খান নিয়ম করে। যেমন- তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস জাতীয় ফল খেতে পারেন। কোনোভাবেই শরীরে যেন পানির অভাব তৈরি না হয়।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করুন

সারা বছর অনেকেই প্রতিদিন শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করেন না। গ্রীষ্মে এই ভুল করবেন না। প্রতিদিন সকালে উঠে মনে করে রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। যদি দেখেন শর্করার মাত্রা বেশি, সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিয়ম মেনে চললেও অনেক সময় শর্করার মাত্রা কিন্তু বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন পরীক্ষা করলে বিষয়টি মাথায় থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এজে)