তিউনিসিয়ার উপকূলে ফের নৌকা ডুবি, ১৯ অভিবাসী নিহত

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৫:০৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ফের অভিবাসীদের নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় সাব-সাহারান আফ্রিকার অন্তত ১৯ অভিবাসী তিউনিসিয়ার কাছে তাদের নৌকা ডুবে মারা যায় বলে একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী রবিবার জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

গত চার দিনে পাঁচটি অভিবাসী নৌকা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর স্ফ্যাক্সের কাছে ডুবে গেছে। ঘটনায় ৬৭ জন নিখোঁজ এবং নয়জন মারা গেছে। ইতালি অভিমুখে উল্লেখযোগ্যভাবে নৌকা করে গমনের মাত্রা বৃদ্ধির পর এই ধরনের দুর্ঘটনার মাত্রাও বেড়েছে।

সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রাইটস (এফটিডিইএস) ফোরাম ফর সোশ্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক রাইটস (এফটিডিইএস) এর একজন কর্মকর্তা রোমাদান বেন ওমর রয়টার্সকে বলেছেন, স্ফ্যাক্স সৈকত থেকে শুরু হওয়া যাত্রার পর তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষীরা মাহদিয়ার উপকূলে নৌকা থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে।

তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষকে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের জন্য পাওয়অ যায়নি। উপকূলরক্ষীরা বলেছে, তারা গত চার দিনে ইতালি অভিমুখে প্রায় ৮০টি নৌকা থামিয়েছে এবং ৩ হাজারের বেশি অভিবাসীকে আটক করেছে, যাদের বেশিরভাগই সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলি থেকে এসেছে।

ইউরোপে উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে দারিদ্র্য ও সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা লোকদের জন্য স্ফ্যাক্সের কাছে উপকূল একটি প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট হয়ে উঠেছে।

সর্বশেষ বিপর্যয়টি তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনথিভুক্ত সাব-সাহারান আফ্রিকানদের গ্রেপ্তারের প্রচারণার মধ্যে আসে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, চলতি বছর অন্তত ১২ হাজার অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে যাত্রা করে ইতালিতে পৌঁছেছে। কিন্তু ২০২২ সালের একই সময়ের মধ্যে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১ হাজার ৩০০। পূর্বে লিবিয়া ছিল অভিবাসীদের প্রধান প্রস্থান পয়েন্ট।

এফটিডিইএসের পরিসংখ্যান অনুসারে, তিউনিসিয়ার উপকূলরক্ষী চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ১৪ হাজারের বেশি অভিবাসীকে নৌকায় উঠতে বাধা দিয়েছে। গত বছরের একই সময়ের মধ্যে এই সংখ্যঅ ছিল ২ হাজার ৯০০।

ইতালীয় উপকূলরক্ষী বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ ইতালীয় উপকূলে দুটি অভিযানে প্রায় ৭৫০ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি শুক্রবার বলেছেন, তিউনিসিয়ায় আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা না হলে উত্তর আফ্রিকা থেকে অভিবাসীদের একটি বিশাল ঢেউ এর উপকূলে আসার ঝুঁকিতে রয়েছে ইউরোপ। মেলোনি আইএমএফ এবং কয়েকটি দেশকে দ্রুত তিউনিসিয়াকে এর পতন এড়াতে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/এসএটি)