বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল জিয়াউর রহমান: দীপু মনি

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৬:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আমরা যে মুক্তির পথে যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেই যাত্রা পথকে রুদ্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তানে ফেরত নিয়ে যাওয়ার জন্য জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, এর প্রমাণ আমরা পাই যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার নাম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, জয়বাংলা নিষিদ্ধ হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা নিধন করা হয়েছিল। সশস্ত্র বাহিনী থেকে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল, সরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছিল। যে নারীদের বীরঙ্গনা উপাধি দিয়ে বঙ্গবন্ধু পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন, সেই নারীদের পুনর্বাসনের সমস্ত কিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। তাদেরকে আবার দুঃস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলে। 

রবিবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কাদের নিয়ে তারা ক্ষমতায় বসেছিলো? তারা আলবদর, রাজাকার, আল শামদের প্রধানদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলো, যারা এই দেশটাকে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করতে লিপ্ত ছিল, যারা যুদ্ধাপরাধ করেছিলো, মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছিলো তাদের নিয়ে তারা ক্ষমতায় বসেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সরাদেশে মুক্তিযোদ্ধা নিধন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিপূর্ণভাবে বিকৃত করে ফেলা হয়েছে। একজন অবৈধ ক্ষমতা দখলদারের পকেট থেকে ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দেওয়ার অপচেষ্টায় ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গিলিয়ে বিএনপি গঠন করা হয়েছিলো। 

বিএনপির জন্মই ছিলো আজন্ম পাপ। তার কারণ ক্যন্টনমেন্টে কোনও রাজনৈতিক দল জন্ম নিতে পারে না। অবৈধ ক্ষমতা দখলদারে পকেট থেকে গড়ে উঠা কোনও রাজনৈতিক দল কখনো মানুষের অধিকারের জন্য কাজ করতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে মানুষের অধিকার আদায়ে জন্য, আন্দোলনের লড়াইয়ের মধ্যদিয়ে। বিকশিত হয়েছে মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যদিয়ে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি তার ভাষার অধিকার পেয়েছে, স্বাধীনতা পেয়েছে, বাঙালি গণতন্ত্র পেয়েছে, আজ বাঙালি উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পেয়েছে, বাঙালি তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/কেআর/এসএম)