ঢাবির ‘প্রলয় গ্যাং’ সদস্যদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৩, ১৪:৫৭

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ূনকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ সদস্যদের বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগ এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এসময় অতি দ্রুত দোষীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান মানববন্ধনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে গ্যাং কালচার নির্মূল করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষার্থী যাতে অবাধে ক্যাম্পাসে চালাচল করতে সেই পরিবেশ শিক্ষার্থীরা আশা করেন। জোবায়েরের ওপর হামলায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি গ্যাং মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি জানান‌ তারা।

মানববন্ধনে জোবায়েরের সহপাঠী জামিল শামস বলেন, জোবায়েরের ওপর যেভাবে হামলা করা হয়েছে তা কোন মানুষের কাজ হতে পারে না। আমরা চাই না এই ক্যাম্পাসে আর কোন অপরাধী চক্র গড়ে না উঠুক, কোন গ্যাং তৈরি না হোক। আমরা চাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকে; প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী যাতে ন্যায় বিচার পায়; ক্যাম্পাসে নিরাপদ ভাবে চলাচল করতে পারে। রাতের বেলাও একজন শিক্ষার্থী চলাফেরা করে যেন এটা মনে না করে যে এই ক্যাম্পাস অনিরাপদ।

একই ব্যাচের জান্নাতী ঈশা বলেন, শুধু প্রলয় গ্যাং না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের যত গ্যাং আছে সবকিছুর নির্মূল চাই। আমরা একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই।

তানভীর আহমেদ সিয়াম বলেন, জোবায়েরের ওপরে এ হামলা প্রত্যেকটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা‌। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে এসেছি এবং আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি এই গ্যাং কালচার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে থাকতে পারে না। তাদের নির্যাতন, নিপীড়ন সাধারণ শিক্ষার্থীরা আর সইতে পারবে না। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে শাস্তি চায়, মুক্তি চায়।

গত শনিবার রাত সাড়ে সাতটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলের সামনে জোবায়েরকে বেদম মারধর করেন ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ দশ জনের অধিক সদস্যদের একটি দল। মারধরকারী শিক্ষার্থীরা জোবায়েরের ব্যাচের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় রবিবার শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা সাদিয়া আফরোজ খান। লিখিত অভিযোগে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনের নাম উল্লেখ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর রবিবার দিবাগত রাতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এসকে/ডিএম)