ঈশ্বরদী ইপিজেডে বেতন-বোনাস বৃদ্ধিসহ দোভাষীর অপসারণ দাবি

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৩, ২২:০৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, পাবনা

পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডের একটি জাপানি শিল্প প্রতিষ্ঠানের দোভাষী সুইটি আক্তারের বিরুদ্ধে কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই করাসহ শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে।

ওই প্রতিষ্ঠানে নামাজ পড়ার জন্য সময় না দেওয়া, মাতৃত্বকালীন ছুটি না দেওয়াসহ ছুটির নিয়ম সহজকরণ, ইফতার ভাতা প্রদান, ডলারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন ভাতা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা ঘটে।

সোমবার সকালে ঈশ্বরদী ইপিজেডের জাপানি শিল্প প্রতিষ্ঠান নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান ফটকে বিক্ষোভ মিছিল ও অফিস ঘেরাও করেন হাজার হাজার শ্রমিক।

শ্রমিকরা এসময় অভিযোগ করে বলেন, কর্মস্থলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের কোন ব্যবস্থা নেই, নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা নেই। কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই করা হয়। এছাড়া ডলারের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখনো এই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন ভাতা ও বোনাস বাড়ানো হয়নি। সরকারি ছুটির দিনেও কাজ করতে বাধ্য করা হয়। মাতৃত্বকালীন ছুটিও দেওয়া হয় না। অথচ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বর্তমান বেতনের টাকায় ১৫ দিনও সংসার চলে না। আসছে ঈদ নিয়েও শ্রমিকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বলে জানান।

নারী শ্রমিক জ্যোতি রাণী অভিযোগ করে বলেন, দোভাষী সুইটি আক্তার কয়েক দিন আগে বিনা নোটিশে আমাকে চাকরিচ্যুত করেন।

সোমবার এসব বিভিন্ন দাবি ও প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বেপজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ঈশ্বরদী ইপিজেডের জিএম আনিসুর রহমানসহ কর্মকর্তারা নাকানো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে শ্রমিকদের দাবি মানার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন।

নাকানো ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডের দোভাষী সুইটি আক্তার বলেন, শ্রমিকরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। জাপানি কোম্পানির নিয়মের বাইরে আমার কিছু করার সুযোগ নেই।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, বেপজা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নাকানো কর্তৃপক্ষ আলাপ করে শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা বিক্ষোভ ছেড়ে কাজে যোগ দেন।

ঈশ্বরদী ইপিজেডের জিএম আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই নাকানো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওই দোভাষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এলএ)