এবার কোমরে পিস্তল গুঁজে ছবি পোস্ট করে আলোচনায় আরেক ছাত্র

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৩:০৩ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৩:৩৬

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
কলেজছাত্র ফারদিন মাশরাফি।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে কোমরে পিস্তল গুঁজে ফেসবুকে ছবি দিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন উপজেলার কলেজছাত্র ফারদিন মাশরাফি। এর আগে একই উপজেলার শুভ্রদেব সিং নামে এক ছাত্রলীগ নেতা কোমরে পিস্তল গুঁজে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন। এর রেশ কাটতে না কাটতেই একই কাণ্ড ঘটিয়ে আলোচনায় এলেন ফারদিন মাশরাফি।

 

কলেজছাত্র ফারদিন মাশরাফি উপজেলার কাদিরদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কামারহাটি গ্রামের মো. আবুল হাসানের ছেলে।

সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কলেজছাত্র ফারদিন ছবিটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, 'আপনাদের কারণে বাইরে আসতেই হলো, হতাশ'।

বিষয়টি নিয়ে ফারদিন বলেন, ওটা একটা খেলনা পিস্তল। গত ১৬ মার্চ আমরা কলেজ থেকে পিকনিকে গিয়ে ছবিটি তুলেছিলাম। আজ কি যেন মনে হলো তাই ছবিটি আমার ফেসবুক আইডিতে ছেড়েছি। তবে এভাবে ছবি ছাড়া আমার ভুল হয়েছে। ক্ষমা করে দেন। লোকজন বলার পর ছবিটি ডিলিট করে দিয়েছি।

এ ব্যাপারে কাদিরদী ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. শফিউল্লাহ সাফি বলেন, এটা মোটেও ঠিক নয়। একজন কলেজছাত্র হয়ে এ ধরনের ছবি পোস্ট করা এক ধরনের অপরাধ। তবে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। অন্যায়কারীর স্থান কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে, সে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

সাতৈর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কাদিরদী ডিগ্রি কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. রাফিউল আলম মিন্টু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এটা করে থাকে অবশ্যই সে ঠিক করেনি। তবে সবকিছু নিয়ে ফাজলামো করা উচিত নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমার কাছে কোনো অন্যায় অপরাধীর প্রশ্রয় নেই।

এর আগে ২৫ মার্চ বোয়ালমারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ্রদেব সিং কোমরে পিস্তল গুঁজে ফেসবুকে ছবি আপলোড করে আলোচনায় আসেন। এ ঘটনায় রবিবার দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশ। পরেরদিন সোমবার তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কাদিরদি ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. নুরুজ্জামান মোল্লা বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কলেজের পিকনিকে একটি গাড়ি গিয়েছিল, সেখানেই অধিকাংশই ছাত্র ছিল আর ৪-৫জন মেয়ে হতে পারে। শিক্ষকরা সার্বক্ষণিক ছাত্রদের সঙ্গে ছিল। পিকনিকে ওই ছবি তুলতে পারেনি। সে নিশ্চয় অন্য কোথাও থেকে ছবিটি তুলেছে। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ষিয়টি খতিয়ে দেখবে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, বিষয়টি জানার পর গত রাতে ফারদিনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তার ঠিকানা সাতৈর হলেও সে সেখানে থাকে না। সে পাশের থানা মধুখালিতে থাকে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে মধুখালির কোথায় সে থাকে। জানতে পারলে মধুখালি থানা পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে বলা হবে। 

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এআর)