সরবরাহ বাড়লেও গ্যাস সংকট কাটছে না

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

চলতি মাসে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। তারপরও আবাসিকে গ্যাস সংকট কাটছে না। ফলে রমজানে রান্নার কাজে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে ইফতারের সময় চরম বিরক্তিকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ গৃহিনীদের। 

রাজধানী ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে রান্নার কাজে তিতাসের পাইপ লাইনের গ্যাসেই ভরসা করেন আবাসিকের গ্রাহকরা। কিন্তু বর্তমানে এই ভরসাই বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিয়েছে প্রায় ২৮ লাখ গ্রাহকের।  বিশেষ করে রাজধানীর শুক্রাবাদ, রায়েরবাজার, মুগদা, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, রায়ের বাগ, লালমাটিয়ায় গ্যাসের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে।

এসব এলাকার বাসিন্দা বলছেন- রমজানে সেহরি ও ইফতারে রান্নার কাজে প্রয়োজনীয় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে ইফতারের সময় সামান্য আচে রান্না করতে হয়। ফলে ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলেও রান্না শেষ হয় না। যার কারণে ইফতারে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বাইরে থেকেই কিনে আনতে হচ্ছে। বায়েরবাগের বাসিন্দা কনিকা বলেন- ‘আমার এখানে গ্যাসের অনেক সমস্যা হচ্ছে। দুপুরের পর গ্যাস চলে যায়, আসে ইফতারের পর। ইফতার বানাতে পারিনি গত কয়েকদিন। কিনে এনে ইফতার করতেছি।’

সায়েদাবাদের ছালেহা আক্তার বলেন, ‘বিকালে গ্যাস থাকে নামে। ইনডাকশন চুলায় রান্না করছি দুই রোজা। মাগরিবের পরপরই আবার গ্যাস চলে আসে।’
লালমাটিয়ার বাসিন্দা কবির আহমেদ রবি জানান, ‘প্রায় এক মাস ধরেই দুপুরের পরে প্রায়ই গ্যাস থাকে না। তাই রোজার আগে আগে সিলিন্ডার কিনেছি। এখন দুপুরে গ্যাস যায় আসে ইফতারের পরে। সিলিন্ডারের চুলায় ইফতারের ব্যবস্থা করছি।’

গত সোমবার গ্রিডে সরবরাহ ছিল ২ হাজার ৮৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট। লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রায় ২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি প্রয়োজন। তবে গত সপ্তাহে সরবরাহ আরও ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট বেশি ছিল। কিন্তু এরপরও রান্নাঘরে স্বল্প আচেঁর অভিযোগ তুলেছেন গৃহিনীরা। কিন্তু তিতাসের কোনও কর্মকর্তাই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ।

তিতাস জানায়, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ আগের চেয়ে ভালো হলেও সব জায়গায় সমান গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের সমস্যা। যা অচিরেই কেটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিতাসের এক কর্মকর্তা বলেন, কারখানা আর বিদ্যুতে সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন যদি বিঘ্নিত হয় তাহলে সেটি সকলের জন্য সুখকর হবে না। তবে আর একটু গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা হলে গৃহস্থালিতেও সংকট থাকতো না। বিষয়টি নির্ভর করছে পেট্রোবাংলার ওপর। সরকারের তরফ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করার নির্দেশ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, গ্রীষ্ম মোকাবিলায় এলএনজির সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে পেট্রোবাংলা। আগামী জুন অবধি প্রতি দিন গ্রিডে ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/আরকেএইচ)