আগুনে ভস্মীভূত পরিবারকে সহযোগিতা করতে এসে হুমকি পেলেন তাসরিফ

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৭:৪৯

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ময়মনসিংহের ত্রিশালে আগুনে ভস্মীভূত এক অসহায় পরিবারকে সহযোগিতা করতে এসে শুভ নামে স্থানীয় এক যুবকের কাছ থেকে হুমকি পেয়েছেন ‘কুঁড়েঘর’ ব্যান্ডের শিল্পী তাসরিফ খান।  মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনায়  স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেন।

উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের বালিদিয়া গ্রামের কাশেম আলীর বাড়িতে গত রবিবার রাত নয়টার দিকের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুটি বসতঘর ও একটি গোয়ালঘর ভস্মীভূত হয়। এতে ঘরের আসবাবপত্রসহ তিনটি গরু পুড়ে মারা যায়। এতে সবকিছু হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারটি। বিষয়টি জানতে পেরে সিলেটের বন্যাদুর্গত বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে কোটি টাকার ফান্ড সংগ্রহ করে বিতরণ করে পরিচিতি পাওয়া তাসরিফ সহযোগিতা চেয়ে সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন এবং আশ্বাস দেন- পরদিনই সহযোগিতা পৌঁছে দেওয়ার। তারই প্রেক্ষিতে সহযোগিতা করতে এসে মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে স্থানীয় কালিরবাজার এলাকায় পৌঁছালে তার এবং বহরে থাকা লোকজনের সাথে এঘটনা ঘটে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাসরিফ খান ''হুমকি দেওয়া স্থানীয় ওই যুবকের ছবি'' মোবাইলে দেখিয়ে জানান, লালশার্ট পরা এই ছেলেটা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমাদের সাথে যা তা ব্যবহার করল। ছেলেটার নাম শুভ। ত্রিশালের এই ছেলেটা কতবড় নেতা আমার জানা নেই, তবে আজ কাশেম চাচাকে সাহায্য করতে গিয়ে ত্রিশালের কালির বাজার এলাকায় আমি গাড়িতে বসে মুখের ব্যায়ামগুলো করছিলাম। ছেলেটা তার বন্ধুদের নিয়ে ছবি তুলতে আসে। আমার ছোটভাই তানজীব গাড়ি থেকে নেমে তাকে বুঝিয়ে বলতে যায়, এখন ছবি তুলা যাবে না, ভাইয়া ব্যায়াম (মুখের সমস্যায়) করছে। এই কথা শুনে ছেলেটা তানজীবকে ধমকের স্বরে বলে, 'তার এলাকায় থাকলে নাকি তার কথা মানতেই হবে, ছবি তুলতেই হবে, এমনকি সে যা বলে তাই করতে হবে, অন্যথায় আমরা যেন এই এলাকা থেকে চলে যাই। কিছুক্ষণ পর এই কথাগুলো জানতে পেরে এক মুহূর্তের জন্য ভাবছিলাম আমি চলেই যাই। যাই হোক, আমি থানায় ফোন করে পুলিশের সহায়তা নিয়ে ওই এলাকায় প্রবেশ করি এবং কাশেম চাচাকে তার প্রাপ্য ঘর বুঝিয়ে দিয়ে আসি।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কাশেম আলী বলেন, তাসরিফ আমাদের জন্য দুইটি ঘর, নগদ ১০ হাজার টাকা, কিছু পোষাক ও একটি গরু কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। আমাদের জন্য উনি আল্লাহর রহমত হিসেবে এসেছেন। ঘরের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তা আমাদের ত্রিশালের জন্য দুর্নাম। 

ত্রিশাল থানার উপ-পরিদর্শক বিল্লাল হোসেন জানান, কালির বাজার এলাকায় আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত এক পরিবারকে সহযোগিতা করতে এসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে তাসরিফ আমাদের সহযোগিতা চাওয়ায় ওসি স্যারের নির্দেশে আমরা তাদের নিরাপত্তা দেই। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো অভিযোগ করেননি।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এলএ)