ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তদের কারণদর্শানোর সময় বৃদ্ধি

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৮:০৫ | আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:১৪

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এই মর্মে জবাব দেওয়ার সময়সীমা আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫ এপ্রিল পযর্ন্ত বাড়ানো হয়েছে। সময়সীমা আর বাড়ানো হবেনা বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

বুধবার রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জড়িত তিনজনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।

গত ৪ মার্চ ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণদর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ১৫ মার্চের মধ্যে অভিযুক্তদের জবাব দিতে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান জবাব দেন। 

অপরদিকে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মিম ও চারুকলা বিভাগের হালিমা আক্তার উর্মি জবাব না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করে। একইসঙ্গে তারা আবেদনে কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনের কপি চান। 

আবেদনের পর তিন অভিযুক্তর আবেদন সংক্রান্ত ফাইল রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ফাইল চলে যায় একাডেমি শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দীন খানের কাছে। তিনি দেখে ফাইলটি পাঠিয়ে দেন রেজিস্ট্রার দপ্তরে। রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে মতামতের জন্য ফাইল গত ১৪ মার্চ আইন প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র‌্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম ইসলাম, ইশরাত জাহান মীম, হালিমা আক্তার উর্মি ও মুয়াবিয়া জাহানসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। ভুক্তভোগীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গত ১ মার্চ সানজিদা চৌধুরী অন্তরাসহ পাঁচ অভিযুক্তকে ক্যাম্পাস থেকে সাময়িক বহিষ্কার, হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার, ভুক্তভোগী ফুলপরীর সার্বিক নিরাপত্তা ও তার পছন্দের হলে উঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে সেদিনই হল প্রভোস্টকে প্রত্যাহার করে প্রশাসন।

এছাড়া গত ৪ মার্চ পাঁচ অভিযুক্তকে সাময়িক বহিষ্কার করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না এ মর্মে কারণদর্শানোর নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর আগে তাদেরকে হল ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এলএ)