জাতিসংঘের বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব সংস্থার সদর দপ্তরে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২৩, ২১:১৩

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব সংস্থা (WIPO)-র সদর দপ্তর আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ রূপকল্প’ বাঙালি জাতির সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি অত্যাবশ্যক ধাপ বলে মন্তব্য করেন জেনেভাস্থ জাতিসংঘ দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান।

উপ-রাষ্ট্রদূত সঞ্চিতা হকের সঞ্চালনায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে স্থায়ী মিশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয়, প্রগতিশীল ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।

স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমস্ত বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে বাংলাদেশ এখন একটি উদার গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক শান্তিকামী রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য, দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্য, নারীর ক্ষমতায়ন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরেন।

“সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়”- এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর হতে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে আসছে। শান্তির সংস্কৃতি বিনির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করার ও কার্যকর অবদান রাখার বিষয়ে তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ২৬ মার্চ সকালে মিশন প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার মধ্যদিয়ে কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দূতাবাস মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ীপ্রতিনিধি, উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি, ইকোনমিক মিনিস্টার এবং কমিঊনিটির সদস্যবৃন্দ।

স্থায়ী প্রতিনিধি স্বাধিকার আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেক্ষিত বর্ণনা করে স্বাধীনতার চেতনার প্রায়োগিক দিকসমূহের উপরে আলোকপাত করেন। তিনি বাংলাদেশের উত্তরোত্তর অগ্রগতির জন্য জাতীয় ঐক্য, সম্প্রীতি এবং সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল দেশ গঠনের আহবান জানান।

বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব সংস্থা (WIPO)-র সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটিতে প্রায় ১০০টি দেশের রাষ্ট্রদূত/স্থায়ী প্রতিনিধি ও কূটনীতিক, জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যসহ তিন শতাধিক আমন্ত্রিত অতিথি অংশগ্রহণ করেন।

বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন- জেনেভা সেন্টার ফর সিকিঊরিটিজ স্টাডিজের পরিচালক রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান, সহ-সভাপতি মশিউর রহমান, মোর্শেদ গোলাম, বিপুল তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, উপদেষ্টা স্বপন কুমার সাহা, আশোক কুমার সরকার রবি, সাংগঠনিক  সম্পাদক গৌরিচরন সসীম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আইয়ান জুনায়েদ প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- সুইজ বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি  ইমরান খান মুরাদ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার ও মিষ্টান্ন দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় এবং শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এলএ)