চিত্রনায়িকা মৌসুমীর উপলব্ধিকে স্বাগত জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ, বললেন…

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৫:৫৪

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

‘আমি মারা যাওয়ার পর টিভিতে ধুমধাড়াক্কা ছবি এবং দশর্কদের কাছে অনেক ছবি রয়ে গেছে সেগুলো ডিলিট করে দেবেন, আমার লাশও যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়।’ সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের শো-তে উপস্থিত হয়ে এমন ইচ্ছার কথাই জানান জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মৌসুমী। যা প্রকাশের পর বেশ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

মৌসুমীর এমন ইচ্ছা এবং উপলব্ধির কথা নজরে এসেছে জনপ্রিয় ইসলামী বক্তা ও আসসুন্নাহ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহর। তিনি মৌসুমীর উপলব্ধিকে স্বাগত জানিয়ে বুধবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি লম্বা পোস্ট দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হলো।

‘অভিনয় জীবনের ত্রিশটি বছর পার করার পর বাংলাদেশের সুপরিচিত এক অভিনেত্রী দর্শকদের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাদের কাছে তার ‘ধুমধাড়াক্কা’ ছবি (সিনেমা) সংরক্ষিত আছে, মৃত্যুর পর সবাই যেন তা ডিলিট করে দেয়। তাছাড়া মৃত্যুর পর তার লাশ যেন কেউ না দেখে, দ্রুত গোপনে যেন তাকে দাফন করা হয়—এমন অনুরোধও ব্যক্ত করেছেন তিনি।’

‘গত কয়েক বছর ধরে এদেশের সর্বসাধারণের মধ্যে দীন পালনের যে আকাঙ্ক্ষা পরিলক্ষিত হচ্ছে, এই ঘটনা তারই ধারাপরম্পরা। আলোচিত এই নায়িকা স্টুডিওতে বসে ক্যামেরার সামনে যখন কথাগুলো বলেন, তখন ক্যামেরার পেছনে কোনো ক্যামেরাম্যান ছিল না। নায়িকাকে নির্জনে বিশেষ কিছু বলবার জন্যে উপস্থাপক বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্টুডিও থেকে।’

‘এমন একান্ত মুহূর্তে গভীরভাবে লালন করা আত্মগত বিশ্বাসই মানুষ নিবিড়ভাবে ব্যক্ত করে। যেন নিজের সঙ্গে নিজের গোপন বিশ্বাসের কথা বলা। নায়িকার এই উপলব্ধিকে আমরা স্বাগত জানাই।’

‘নারী-স্বাধীনতার মুখরোচক স্লোগানে আত্মহারা হয়ে অনেক বোন নারিত্বের খোলস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। যাকে তারা মুক্তির উজ্জ্বল দীপশিখা ভেবে উন্মত্ত হন, দিন শেষে বুঝতে পারেন, আসলে তা অগ্নিগহ্বর ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু সেই উপলব্ধি আসতে আসতে জীবনের অনেক কিছুই তারা হারিয়ে ফেলেন। আলোচিত নায়িকা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।’

‘প্রিয় বোন, এমন ক্যারিয়ার গড়বেন না, যেখান থেকে দ্বীনে ফিরে আসাটা দুর্গমগিরি কান্তার মরু পাড়ি দেয়ার মতো কঠিন হয়ে যায়। লাইফস্টাইল ও ক্যারিয়ার বাছাইয়ে সতর্ক না হলে হয়তো এমন দিন আসবে, যখন আপনার বোধোদয় হবে, কিন্তু পৃথিবীর বুক থেকে আপন পাপের চিহ্ন মুছে ফেলতে পারবেন না। সেদিন আপনার আফসোসই বাড়বে শুধু।’

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এলএম/এজে)