নোয়াখালীর দুই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৮:৫৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সারা দেশের ন্যায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস নামক বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলা সদর হাসপাতাল সহ বাকি ৭টি উপজেলায় সে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চালু করা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে বিকাল ৪টা থেকে বেগমগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন।

জানা গেছে, ইনস্টিটিউশনাল প্র্যাকটিস নামের বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে অধ্যাপক, সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপকদের জন্য একটি সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী অধ্যাপক পর্যায়ে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০০ টাকা, তাঁর সহযোগী দুজন পাবেন ৫০ টাকা করে। সহযোগী অধ্যাপক বা সিনিয়র কনসালটেন্ট ফি ৩০০ টাকা, সহকারী অধ্যাপক বা জুনিয়র কনসালটেন্ট ফি ২০০ টাকা। তাঁদের সহযোগী দুজন পাবেন ৫০ টাকা করে। বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবায় ছোট অস্ত্রোপচারের জন্য ৮০০ টাকা, সিজারের জন্য ১৫ শত টাকা ফি ধরা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীদের সার্জারি, ডায়াগনস্টিক/ক্লিনিক্যাল/প্যারা-ক্লিনিক্যাল টেস্টসহ বিভিন্ন রকম পরীক্ষার জন্যও বৈকালিক ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা মনির হোসেন নামের এক রোগী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে কোমর ব্যথা সহ কিছু সমস্যায় ভোগছিলেন। একটি চাকরি করার কারনে হাসপাতালের নির্ধারিত সময়ে আসতে পারেননি তিনি। তাই বাধ্য হয়ে বিকেলে সেবা নিতে এসেছেন, তবে ৩০০টাকা ফি দিলেও ভালো সেবা পেয়ে খুঁশি তিনি।

মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. মো আবদুল আউয়াল বলেন, সরকারের এমন প্রচেষ্টাকে আমরা চিকিৎসকার স্বাগত জানায়। হাসপাতালের আউটডোরে নির্ধারিত সময়ের পর সাধারণত রোগীদের চিকিৎসকে দেখানো সম্ভব হয় না। এ পদ্ধতি চালু হওয়ার পর অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে ভালো চিকিৎসা সেবা পাবেন রোগীরা।     

সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া বাকি ৬দিন বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ সেবা কার্যক্রম। সপ্তাহে একজন কনসালটেন্ট দুই দিন করে সেবা প্রদান করবেন। এছাড়া রোগীর উপস্থিতির ওপর প্রয়োজন অনুযায়ী মেডিকেল অফিসারদের এ কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে।

 

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এসএ)