ছিনতাই দমন ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ আইজিপির
প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২৩, ১৮:৫৫
রমজান এবং ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ দমনে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। একই সঙ্গে তিনি ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফিটনেসবিহী যানবাহনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সদরদপ্তরে মাসিক অপরাধ (ফেব্রুয়ারি) পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি।
আইজিপি বলেন, রমজান এবং ঈদ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধ দমনে মাঠ পর্যায়ে জোরালো কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে ছিনতাই, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টিসহ অন্যান্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে নজরদারি বাড়াতে হবে।’
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কেউ যেন ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য পুলিশের মনিটরিং জোরদার করতে হবে। এ কাজে বিট অফিসারদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে। যাতে তারা নিজ নিজ এলাকার প্রতিটি ঘটনা সম্পর্কে অবহিত থাকে। কোথাও কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
আইজিপি ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখ মানুষের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন এবং সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করেন। বলেন, ফিটনেসবিহীন বাস-লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিশপ্রধান বলেন, ‘বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার রোধে নিয়মিতভাবে গানচেকিং করতে হবে। তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আরও বেশি তৎপর হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।’ আইজিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেন।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বেড়েছে। জনগণ জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ কল করে প্রতিনিয়ত পুলিশের সেবা পাচ্ছেন। তিনি জনগণকে আরো উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সচেষ্ট থাকতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান।
ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এসএস/ইএস