শ্রীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণশ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ৩১ মার্চ ২০২৩, ১৭:৩৪
অ- অ+

গাজীপুরের শ্রীপুরে নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়া নির্মাণাধীন ভবনে কাজের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে কারখানার মালিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন নিহত মনোয়ার হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেন।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখণ্ড এলাকায় স্কাইনিট পাওয়ার কোম্পানির নিমার্ণাধীন বহুতল ভবনে নিচ থেকে ওপরে রড ওঠাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণশ্রমিক নিহত হন। স্কাইনিটের এই কারখানাটি “আরমাদা স্পিনিং” কিনে নিয়েছিল।

নিহত ৩ শ্রমিক হলেন, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের পিয়াস (২০), একই গ্রামের পাভেল (২৩) এবং জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জের মনোয়ার হোসেন (২৫)।

ওসি আবুল ফজল জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মনোয়ার হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেন কারখানার মালিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় আসামিরা হলেন, ভবনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আলিফ এন্টারপ্রাইজের কর্মকর্তা ইব্রাহিম খান, ফোরম্যান রাব্বানী এবং স্কাইনিট পাওয়ার কোম্পানির মালিক আরশেদ আলী। অভিযুক্তদের মধ্যে ইব্রাহিম খান ও রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আগুনে পোড়ার গন্ধ পাওয়া যায়। সকাল ৯টার দিকে কারখানার গেটে উৎসুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করে। সাংবাদিকেরা নির্মাণাধীন ভবনের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। পরে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হলে স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় সেখানে কোনো মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়নি। পরে এক শ্রমিক ইঙ্গিত করে জানান, মরদেহ বালির নিচে চাপা দেওয়া হয়েছে। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বালির নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

মাওনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইফতেখার হোসেন রায়হান জানান, আরমাদা স্পিনিং কারখানায় সকাল ৮টায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কারখানার পশ্চিম পাশের তিন তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। সেখানে কর্মরত ৩ নির্মাণ শ্রমিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।

তিনি বলেন, নিচ থেকে রড ভবনের ওপরে ওঠানোর সময় পাশ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্টের লাইনে তা পড়ে যায়। এতে বিদ্যুতায়িত হয়ে শ্রমিকদের মৃত্যু হয়। আমরা নিহতদের মরদেহ বালির নিচে চাপা দেওয়া অবস্থায় পেয়েছি।

ভবনের নির্মাণ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, তাদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হয়নি। বরং তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর পর মরদেহ বালির নিচে চাপা দেওয়া হয়।

মরদেহ বালির নিচে চাপা দেওয়ার কারণ হিসেবে কারখানার এক কর্মচারী বলেছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর তিন শ্রমিকের শরীরে আগুন ধরে গিয়েছিল। আগুন নেভানোর জন্যই তাদের বালুর নিচে চাপা দেওয়া হয়।

শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল কিনা জানতে চাইলে কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনার সময় কারখানায় উপস্থিত ছিলাম না। মরদেহ বালিচাপা দেওয়ার বিষয়টিও আমার জানা নেই।

(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বাংলাদেশের বিপক্ষে ড্র মানতেই পারছে না ভারত
কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২
ঈদে ৯ দিন বন্ধ থাকবে ভোমরা স্থলবন্দর
ধানমন্ডিতে র‌্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতি: ব্যবহৃত সরঞ্জামসহ চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা