স্বামী ভিক্ষুক হলেও ডিভোর্সের পর স্ত্রীর ভরণপোষণের দায় তারই

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:৩২

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ একটি সাধারণ বিষয়। সারা বিশ্বে প্রতিদিনই ভাঙছে অসংখ্য সংসার। কিন্তু ডিভোর্সের পর অনেক স্বামীই স্ত্রী এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন বা দিতে অস্বীকৃতি জানান। বাধ্য হয়ে আদালতের দারস্থ হতে হয় স্ত্রীকে।

এবার তেমনই একটি ঘটনায় ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, কোনো স্বামীর পেশা যদি ভিক্ষাবৃত্তিও হয়, তবুও স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব তাকেই পালন করতে হবে।

মামলাটি ছিল এক ডিভোর্সের। সেখানে এক ব্যক্তিকে নিম্ন আদালত নির্দেশ দেয়, স্ত্রীকে ডিভোর্সের মামলা চলাকালীন ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা খরপোশ দিতে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই ব্যক্তি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন।

কিন্তু এড়াতে পারলেন না দায়িত্ব। শনিবার পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছে, একজন স্বামী যদি পেশাগতভাবে ভিক্ষাও করেন, তাহলেও তার স্ত্রীর ভরণপোষণ তারই দায়িত্ব। কোর্ট বলছে, `স্বামী (এই মামলায়) একজন সক্ষম ব্যক্তি, একজন শ্রমিকও ৫০০ টাকা বা তার বেশি আয় করেন দিনে।’

যে মামলায় কোর্ট এই রায় দিয়েছে, সেই মামলায় আবেদনকারীর স্ত্রী ডিভোর্সের জন্য মামলা করেছিলেন হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের সেকশন ২৪ অনুযায়ী। নিম্নকোর্টে দায়ের করা সেই আবেদনে তিনি প্রতি মাসে তার স্বামীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন।

এছাড়া মোকদ্দমার খরচ বাবদ আরও ১১ হাজার টাকা দাবি করেন। এরপরই কোর্ট জানায়, ভরণপোষণের খরচ বাবদ স্ত্রীকে ওই ব্যক্তি প্রতিমাসে ৫,৫০০ টাকা দেবেন। এছাড়া প্রতি শুনানির জন্য ৫০০ টাকা করে স্বামী যাতে স্ত্রীকে দেন সেই নির্দেশও দেয় আদালত।

কোর্ট বলছে, এই মামলায় স্বামী এটি প্রমাণ করতে পারেননি যে, তার স্ত্রী কোথাও থেকে রোজগার করেন। ফলে স্ত্রীর কোনো উৎস নেই রোজগারের। সেই অবস্থায় স্বামী যদি ভিক্ষা করেও পেশাগত জীবন নির্বাহ করেন, তাহলেও স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব স্বামীর।

(ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/এজে)