মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষকারী পত্রিকা ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২৩, ২০:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহান স্বাধীনতাকে নিয়ে কটাক্ষকারী পত্রিকা ও তার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ। শনিবার পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের ভারপ্রাপ্ত দপ্তরসম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার মর্মবাণী ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণাকে ভিত্তি ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের মহান ব্রত নিয়ে বাংলাদেশকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। সেই সময়ে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে একটি প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দৈনিক সাংবাদিকতার সব রীতি নীতি ভঙ্গ করে ১০ বছরের একজন অবুঝ শিশুর ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে ৩০ লাখ শহীদ আর দু ‘ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে ‘মাছ মাংস আর চালের স্বাধীনতা' শীর্ষক সংবাদে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ছবি ও সংবাদ প্রকাশ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আলোচিত সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের সব রীতি-নীতি স্বতপ্রণোদিতভাবে উপেক্ষা করে পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা করে অমার্জনীয় অপরাধ করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধমূলক সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়ায় প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোনো কোনো মহল প্রচার করছে যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করায় সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। তাই এ ধরনের প্রতারণামূলক, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতার মতো সুমহান পেশার নামে অপসাংবাদিকতা এবং গর্হিত অপরাধ। পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ পত্রিকাটির সাংবাদিকতার রীতি নীতি পরিপন্থী এ ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পেশাজীবীসহ সবাইকে রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি বিচারপতি এ এফ এম মেসবাহ উদ্দিন, মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক উপাচার্য ড. কামরুল হাসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া, হাবিপ্রবির উপাচার্য ড. এম কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. নিজামুল হক ভুইয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামালউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক ওমর ফারুক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক সোহেল হায়দার চৌধুরী, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আসাদুল হক, শিক্ষক নেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা বেগম, বিএমএর মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপের মহাসচিব ডা. কামরুল আহসান মিলন, কেআইবির মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, আইইবির সম্মানি সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন শিবলু, বিএফইউজের মহাসচিব সাংবাদিক দীপ আজাদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আকতার হোসেন, প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক হান্নানা বেগম, বাকবিশিসের মহাসচিব অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার, সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য।

ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/এএ/ইএস