টঙ্গীতে ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ততা বাড়ছে দর্জিদের

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৫:৪২

মো. রাজীব হোসেন, টঙ্গী-পূবাইল (গাজীপুর)

ঈদ মানে আনন্দ। আর এ আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় নতুন পোশাক। তাই তো ঈদের সময় যতই ঘনিয়ে আসে, মার্কেটের পাশাপাশি মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে দর্জিদের দুয়ারেও। আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে মনের মতো ডিজাইনের পোশাক বানাতে মানুষেরা ভিড় করছেন দর্জিপাড়ায়।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, টঙ্গী বাজার, নতুন বাজার, টঙ্গী কলেজ গেইট, মিরের বাজার, পূবাইল বাজার এলাকায় নতুন কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত দর্জিরা। তাদের হাতে যেন মোটেও সময় নেই। কেউ অর্ডার দিচ্ছেন নতুন শার্ট প্যান্ট, অনেকে অর্ডার দিচ্ছেন নতুন পাঞ্জাবি, অনেক মহিলা ক্রেতারা অর্ডার দিচ্ছেন জামা। প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা, শার্ট ৩০০-৪০০ টাকা, মেয়েদের লেহেঙ্গা ৮০০-১২০০ টাকা, থ্রি পিছ প্রকারভেদ অনুযায়ী ৪০০-৮০০ টাকা, ব্লাউজ পেটিকোট ২০০-৩০০ টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ডিজাইনের উপর নির্ভর করে নেওয়া হয় মজুরি। নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে হবে অর্ডারকৃত ক্রেতাদের কাছে। সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে সেলাইয়ের কাজ। কেউ মাপ নিচ্ছেন, কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ আবার সেলাই করছেন, কেউ বোতাম লাগিয়ে আয়রণ করে অর্ডার বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি জামা সাজিয়ে রাখছে দোকানে। আর এসব কাজ সময়মত বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি টেইলার্সে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ দিয়েছেন মালিকরা।

ক্রেতারা বলছেন কেনা পোশাকের চাইতে বানানো পোশাক ভালো হয় তাই দর্জির দোকানে আসেন অনেকে।

কাপড় তৈরি করতে আসা সবুজ হোসেন জানান, ঈদের সময় সবাই চায় নতুন পোশাক পড়তে। তাই নিজের পছন্দমত কাপড় গজ আকারে কিনে পছন্দমত দর্জির দোকানে বানাতে দেই।

মিরের বাজারে অবস্থিত মেসকো টেইলার্সে আসা একজন ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর নতুন কাপড় তৈরি করে পড়ি। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কাপড়ের দাম বেশি। আবার কাপড় তৈরির মজুরিও একটু বেড়েছে।

ড্রেস কিং টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী উজ্জল মিয়া ঢাকা টাইমসকে বলেন, বিরতিহীনভাবে রাতভর কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মোতাবেক পোশাক তৈরির কাজ চালানো হচ্ছে। তবে বিশ রমজানের পরে আমরা আর অর্ডার নিবো না।

টেইলার্সের মালিক মাসুম মোল্লা জানান, আমরা আশা করছি যদি বিদ্যুতের সমস্যা না থাকে তাহলে সবাইকে সময়মতো কাপড় ডেলিভারি দিবো।

(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/এসএ)