নাসিরনগরের শতবর্ষী বৈশাখী মেলা শুরু

প্রকাশ | ১৫ এপ্রিল ২০২৩, ২১:০০

শেখ সিরাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

এবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুলিকুণ্ডা গ্রামে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা শনিবার ভোরে শুরু হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মেলাটির প্রচলন হলেও এটি শুটকি মেলা হিসেবেও পরিচিত। প্রাচীন ঐতিহ্য অনুযায়ী মেলার শুরুতে ভোরে ২/৩ ঘণ্টাব্যাপী পণ্যের বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে শুটকি। পরে শুরু হয়েছে নগদ টাকায় এমনটাই জানিয়েছেন কুলিকুণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী ফজল ভুইয়া।

তার মতে, শত বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে প্রতিবছর এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুঁটকিপ্রেমীদের ভিড় জমেছে। মূলত শুটকি মেলা হলেও অন্যান্য পণ্যও কেনাবেচা হয় এখানে।

প্রতিবছর বৈশাখের এইদিনে এই মেলাটি জমে। কুলিকুণ্ডা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জমে উঠা এ মেলা চলবে রবিবার পর্যন্ত।

স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য গোলবাহার বেগম জানিয়েছেন, এ শুটকি মেলা শত বছরের পুরনো ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। এলাকাবাসী উৎসবমুখর পরিবেশে এই মেলা উপভোগ করে থাকে।

স্থানীয় কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত চাল, ডাল, ধান, শিমের বিচি, আলু, শরিষা, পেঁয়াজ, রসুনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা পণ্যের বিনিময়ে শুটকি কিনে নেন। এই পণ্যের বিনিময় প্রথাটি মেলার শুরুর দিকে ২/৩ ঘণ্টা চলমান থাকে। 

নাসিরনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সুজিত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই শুটকি মেলা আমাদের লোকজ উৎসবের অংশ। নাসিরনগর উপজেলার বাইরে বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকসমাগম ঘটে।

নাসিরনগর সদর ইউপি চেয়ারম্যান পুতুল রানী দাস মেলা পরিদর্শনকালে জানিয়েছেন, এই মেলা উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী বিভিন্ন এলাকা থেকে আসেন। মেলার মূল আকর্ষণ নানা ধরনের বিপুল পরিমাণ শুটকির পসরা জমেছে। এছাড়াও মেলায় রয়েছে বাঁশ-বেঁতের জিনিসপত্র, কাঠের আসবাবপত্র, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, মিষ্টির দোকান, মই, পাতলা, বাঁশি, বাঁশের লাঠি ও নাগরদোলা।

(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/এলএ)