নিউইয়র্কে গোপন ‘চীনা পুলিশ স্টেশন’, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১৬:৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

নিউইয়র্কে চীনের পুলিশ বাহিনীর জন্য একটি গোপন স্টেশন চালানোর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী চীনা ভিন্নমতাবলম্বীদের ট্র্যাক করার জন্য এটিকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এফবিআই।

দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, ম্যানহাটনের চায়নাটাউনে স্টেশনটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং চীনের গণতন্ত্রপন্থী কর্মী এবং বিশ্বজুড়ে অন্যান্য রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক দমন অভিযানের অংশ হিসেবে বেইজিংয়ের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় (এমপিএস) দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট ট্রল অপারেশন চালানো, তাদের হয়রানি করার জন্য জাল সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করা এবং নামহীন মার্কিন টেলিকম কোম্পানিতে একজন কর্মী নিয়োগ করার অভিযোগে ৪০ এমপিএস কর্মকর্তা এবং অন্য চারজনের বিরুদ্ধে সোমবার বিচার বিভাগ অভিযোগ ঘোষণা করেছে।

কর্মকর্তারা চীনা বলে মনে করা হচ্ছে। তারা একটি এমপিএস ইউনিটের সদস্য। এটি বিশেষ প্রকল্প ওয়ার্কিং গ্রুপ যা বিদেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের তাড়া করার জন্য নিবেদিত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

নিউইয়র্কের কথিত গোপন পুলিশ স্টেশনে অক্টোবরে অভিযান চালানো হয় এবং সোমবার সকালে এফবিআই থানাটি চালানোর সন্দেহে দুই নিউ ইয়র্কবাসীকে গ্রেপ্তার করে। চীন জোর দিয়ে বলেছে নিউইয়র্ক এবং বিশ্বজুড়ে অনুরূপ অফিসগুলো স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এগুলো পুলিশের সঙ্গে সংযুক্ত নয়। নিউইয়র্কের পূর্বাঞ্চলীয় জেলার ইউএস অ্যাটর্নি ব্রেয়ন পিস বলেছেন, এখন সরাসরি সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অফিস থেকে দুই মাইল দূরে, ব্রুকলিন ব্রিজের ঠিক ওপারে, নিম্ন ম্যানহাটনের চিনাটাউনের কোলাহলপূর্ণ কেন্দ্রে অবস্থিত এই ননডেস্ক্রিপ্ট অফিস বিল্ডিংটি কয়েক মাস আগে পর্যন্ত অন্ধকার এবং গোপন ছিল। এই বিল্ডিংয়ের পুরো ফ্লোরে চীনের জাতীয় পুলিশের একটি অঘোষিত পুলিশ স্টেশন ছিল।’

অভিযোগে বলা হয়েছে, স্টেশনটি ড্রাইভিং লাইসেন্স পুনর্নবীকরণে সহায়তা করার মতো কিছু চীনা সরকারি পরিষেবা সরবরাহ করেছিল। কিন্তু বিদেশি সরকারের এজেন্ট হিসেবে বিচার বিভাগের সঙ্গে নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

গ্রেপ্তার হওয়া দুই নিউইয়র্কের বাসিন্দা, ‘হ্যারি’ লু জিয়ানওয়াং (৬১) এবং (৫৯) বছর বয়সী চেন জিনপিং। এফবিআই অনুসন্ধানের আগে এমপিএস কর্মকর্তার সঙ্গে তাদের ফোনে যোগাযোগের প্রমাণ মুছে ফেলার অভিযোগে বিচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। বিচার বিভাগ বলেছে, দুই ব্যক্তি তাদের ফোন থেকে উপাদান মুছে ফেলার কথা স্বীকার করেছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/এসএটি)