যুবলীগ নেতা হত্যায় সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন এমপি ওদুদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৫৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ। এতে পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা মেয়র মোখলেসুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সামিউল ইসলাম লিটন জড়িত বলে দাবি তার।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন তিনি।

সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বলেন, যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার শিকার জেম ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভা মেয়র মোখলেসুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সামিউল ইসলাম লিটনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এসে লাইভে কথা বলেন। সেই কারণে বুধবার বিকালে উদয়মোড় এলাকায় তাদের মাস্তান বাহিনী দিয়ে জেমকে হত্যা করা হয়। এর আগে এই সন্ত্রাসী বাহিনী নয়ালাভাঙ্গা গ্রামের আলম ঝাপড়াকে রাতে হত্যা করেছে। আর যারা হত্যা করেছে- তারা প্রকাশ্যে ঘুরেও বেড়াচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলা হলে তারা বলেন, উপরের চাপ রয়েছে আসামি না ধরতে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ আরও বলেন, একজন ডিআইজি নুরুল ইসলামের সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারা একের পর এক হত্যা হয়ে যাবে। এর কোনো বিচার হবে না? জনগণ ও ভুক্তভোগী পরিবার কি বিচার পাবে না? চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী তাদের জন্য আতংকের মধ্যে বসবাস করছে। গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর বিচার চান তিনি।

এসবের কোনো বিহিত না হলে ঈদুল ফিতরের পরের দিন থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন সাংবাদিক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম শাহনেওয়াজ অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহিদুল হুদা অলক, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফায়জার রহমান কনকসহ অন্যান্যেরা।

এর আগে দুপুরে যুবলীগ নেতা জেমের লাশ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে দোয়ার আয়োজন করেন নেতাকর্মীরা। পরে জেম হত্যায় জড়িতদের আটকের দাবি জানিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন তারা।

বুধবার সন্ধ্যায় শহরের উদয়মোড়ে খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন পৌর আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা রয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/২০এপ্রিল/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :