কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় শ্বাসরোধে হত্যা

প্রকাশ | ২১ এপ্রিল ২০২৩, ১৪:১৬

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় মায়ের বিরুদ্ধে ওই নবজাতককে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেন মিলন বখতিয়ার নামে মৃত নবজাতকের বাবা।

মামলার প্রেক্ষিতে রুমা খানম নামে ওই সদ্য প্রসূতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকার ইউনিয়নের পূর্বপয়সা গ্রামের মিলন বখতিয়ারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম ছরোয়ার জানান, পূর্বপয়সা গ্রামের বাসিন্দা মিলন বখতিয়ার ও রুমা খানম দম্পতির অর্ধযুগের দাম্পত্য জীবনে ৫ বছরের মারুফা ও দেড় বছরের সোহানা নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে মিলনের স্ত্রী রুমা খানম আবার কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের দুই ঘণ্টা পর ওই নবজাতকের গলায় রশি পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করে ফেলে রাখেন মা রুমা খানম নিজেই। প্রতিবেশী সাদিয়া বেগম রুমার কন্যা সন্তানকে দেখতে আসেন। এসময় নবজাতককে অচেতন অবস্থায় দেখতে পেলে ঘটনা প্রকাশ পায়।

জানাজানির আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মা রুমা খানম হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই শিশুটির মা রুমা খানম জানিয়েছেন, আগের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া সন্তান কন্যা হওয়ায় ক্ষোভে-দুঃখে তাকে মেরে ফেলেছেন। এসময় পুলিশ মা রুমা খানমকে গ্রেপ্তার করে এবং নবজাতকের মরদেহ থানায় নিয়ে আসে।

রুমা খানমের স্বামী মিলন বক্তিয়ার জানান, ৭ বছর পূর্বে ভালোবেসে বিয়ে করেন খাজুরিয়া গ্রামের রুমা খানমকে। পরে পরিবার মেনে নিলে তাদের দাম্পত্যজীবনে দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। দেড় বছরের কন্যা শিশু থাকতে আবারও রুমা খানম তৃতীয় কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। রুমা হয়তো পরপর তিনটি কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়াতে নবজাতককে নিজ হাতে হত্যা করেন।

এ ঘটনায় রুমার স্বামী মিলন বক্তিয়ার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী রুমা খানমকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। 

অপরদিকে, ওই দুপুরে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আসামি রুমা খানমকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম।

(ঢাকাটাইমস/২১এপ্রিল/এলএ)