সরকার জনগণের কথা না ভেবে ক্ষমতায় থাকার জন্যই ব্যস্ত: ইবরাহিম

প্রকাশ | ০১ মে ২০২৩, ২০:৪০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেছেন, আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছিলাম একটা আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে, যা থেকে এই দেশ ও দেশের প্রশাসন অনেক দূরে। সরকার এখন আর জনগণের কথা ভাবে না। তারা যে করেই হোক ক্ষমতায় থাকার জন্য সব কিছু করতেই ব্যস্ত।

 

সোমবার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে ১২ দলীয় জোটের অন্যতম ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এন ডি পি) আয়োজিত গণমিছিলপূর্ব শ্রমিক-জনতা সমাবেশে সৈয়দ ইবরাহিম এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এন ডি পি চেয়ারম্যান ক্বারী মো. আবু তাহের।

 

সৈয়দ ইবরাহিম বলেন, এখন সময় এসেছে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করে শ্রমিক-জনতার দাবি আদায় করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী মুক্তিযোদ্ধের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে হবে।

 

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রিয় রাসূল (সা.) বলেছিলেন, শ্রমিকদের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের মজুরি দিতে হবে কিন্তু এখন ঈদের আগে বেতন বোনাসের জন্য শ্রমিকদের রাস্তায় নেমে - আন্দোলন করে মজুরি আদায় করতে হয়। যদি দেশে নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তবে ভোটাররা ঈমানদার প্রার্থীদের জয়ী করে মহানবীর আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারবে।

 

সভাপতির বক্তব্যে এন ডি পি চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহের বলেন, এই সরকার একটা গণ বিরোধী সরকার, এই সরকারকে হটাতে হবে এবং একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের মাধ্যমে শ্রমিক-জনতা সমতার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। এই সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন কোনও অধিকার আদায় হবে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আজ মানুষ যেভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে তা আরো দীর্ঘস্থায়ী হবে। তাই সবাইকে এক সাথে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে হবে।

 

এন ডি পি মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুন (সোহেল) বলেন, ১৮৮৬ সনের শ্রমিক আন্দোলন এক দিনে হয়নি। দাবি আদায়ে শ্রমিকদের বছরের পর বছরের পুঞ্জীভূত আন্দোলন ও চেষ্টাই ১লা মে চূড়ান্ত বিজয় এনে দিয়ে ছিল। তাই আমাদেরকে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে হটিয়ে গণতান্ত্রিক ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে এই ২০২৩ সালেই রাস্তায় নেমে গণ-আন্দোলন করতে হবে। নতুবা আরো ৫/১০ বৎসর বা অধিক সময় এই শোষক সরকার দ্বারা জনগণ শোষিত হবে। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ তারা বিদেশে পাচার করবেন আর আমাদেরকে বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে বেশি দামে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে হবে।

এসময় মুসলিম লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল চৌধুরূসহ জোট নেতারা বক্তব্য রাখেন।

(ঢাকাটাইমস/০১মে/জেবি/কেএম)