মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ
মুরগির খামারের বিষ্ঠার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ফকদনপুর গ্রামের মানুষ। এছাড়া এর ফলে এলাকার শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ওই গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, সামু এগ্রো ফার্মস বিষাক্ত বিষ্ঠা প্রতিদিন ফকদনপুর গ্রামের মূল সড়কের পাশে খোলা জায়গায় ফেলা হচ্ছে। অথচ রোড ভাউলাটমোড় থেকে ভাউলার হাট হয়ে রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের প্রতিদিনের চলাচলের রাস্তা এটি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সামু এগ্রো ফার্মসে মুরগির খামারে প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস ধরে
ডিম উৎপাদন হচ্ছে। এ ফার্ম থেকে প্রতিদিন বিপুল বিষ্ঠা বের হয়। এসব বিষ্ঠা ফার্মের নির্দিষ্ট স্থানে রাখার ব্যবস্থা না থাকায় দিনে দুপুরে খোলা জায়গায় যত্রতত্র ফেলে রাখছে তারা। এসব বিষ্ঠা উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখার ফলে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে এর দুর্গন্ধ। বিষ্ঠার গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এর গন্ধে
ইতোমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেক নারী-শিশুসহ বয়স্করা।পথচারী কামাল হোসেন বলেন, আমাদের এ পথদিয়ে প্রতিদিন ৮-১০ বার যাতায়াত করতে হয়। খোলা জায়গায় বিষ্ঠা ফেলানোর কারণে এলাকায় গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমাদের এলাকার এই রাস্তাটিই শহরে একমাত্র যাতায়াতের পথ। বাচ্চাদের স্কুলে এ পথদিয়ে নিয়ে যেতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। বাসা বাড়ি গুলোয় মশা মাছির উৎপাত বেড়ে গেছে।
সামু এগ্রো ফার্মসের স্বত্বাধিকারী মো. শামসুজ্জোহা সামু বলেন, আসলে বিষ্ঠাটাতো সব সময় এখানে এভাবে থাকবে না। এর আগে বিষ্ঠা বিভিন্নজন জমি বাড়িতে নিয়ে যেত। এখন জমিতে ফসল থাকার কারণে নেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, যেখানে বিষ্ঠা ফেলা হচ্ছে সেখান থেকে লোকালয় অনেক দূরে। বিষ্ঠার গন্ধ সাময়িকভাবে থাকে। এখন এমন একটা সময়, আমরা অন্য কোথাও ফেলবো? সব জায়গায়তেই ফসল আছে। তাছাড়া আমরা ফার্মে সব সময় থাকি আমাদের কাছে গন্ধ মনে হয় না। সাধারণ মানুষের কাছে একটু বেশি গন্ধ মনে হয়। তবে আমরা অন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করছি।
রহিমানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হাসান মো. আব্দুল হান্নান (হান্নূ) বলেন, বিষয়টি আমি আগেও তাদের অবহিত করেছি। আমাকে তারা জানিয়েছে, সেখানে আর তারা বিষ্ঠা ফেলবেন না। বিষয়টি আমি আবারও খবর নিয়ে দেখবো।
আরও পড়ুন: চুরির অপবাদে কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান জানান, রাস্তার পাশে খোলা অবস্থায় যেখানে সেখানে মুরগির বিষ্ঠা ফেলা যাবে না। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। জন মানুষের সমস্যা কবরে এটা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি আমি জরুরিভাবে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
(ঢাকাটাইমস/৫মে/এসএম)