নাটোরে গাছ থেকে আম ১৫ মে ও লিচু ৯ মে থেকে সংগ্রহ শুরু

প্রকাশ | ০৭ মে ২০২৩, ১৪:২৯ | আপডেট: ০৭ মে ২০২৩, ১৫:৪০

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নাটোর জেলায় আগামী ১৫ মে গাছ থেকে নিরাপদ আম ও ৯ মে লিচু সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হবে।

রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ফল উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পুরো মৌসুমে গাছ থেকে বিভিন্ন জাতের আম ও লিচু সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়।

জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞার সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাছুদুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) হুসনা ইয়াসমিন, আম চাষি মোস্তফা কামাল, বিটিভি ও ঢাকা টাইমস এর নাটোর প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন প্রমুখ।

সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে, জেলায় ১৫ মে শুরু হয়ে আম সংগ্রহ কার্যক্রম আগামী ২০ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে। মোজাফফর জাতের লিচু ৯ মে এবং বোম্বাই জাতের লিচু ২৫ মে সংগ্রহ শুরু হবে। আমের সময়সূচীর শুরুতে ১৫ থেকে স্থানীয় গুটি জাতের আম সংগ্রহ শুরু হবে। পরবর্তীতে ২০ মে থেকে গোপালভোগ আম, ২৫ মে থেকে লক্ষণভোগ ও রাণী পছন্দ, ৩০ মে থেকে ক্ষীরসাপাত, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া, ২০ জুন থেকে মোহনভোগ, ২০ জুন থেকে আম্রপালি, ২৫ জুন হাড়িভাঙ্গা ও ফজলী, ৫ জুলাই থেকে মল্লিকা, ১০ জুলাই থেকে বারি-৪, ২০ জুলাই থেকে আশ্বিনা জাতের আম এবং সর্বশেষ ২০ আগষ্ট থেকে গৌড়মতি আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়সূচীর বাইরে আগে কোন জাতের আম ও লিচু গাছে পরিপক্ক হলে উপজেলা কৃষিবিভাগ ও প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে কৃষক বা ব্যবসায়ী গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে পারবেন।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় পাঁচ হাজার ৭৪৭ হেক্টর জমি থেকে ৭৯ হাজার ৮৮৩ টন আম এবং ৯১৬ হেক্টর জমি থেকে আট হাজার ২০০ টন লিচু উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে গাছে ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পর ফল সংগ্রহের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা এবং ক্ষতিকর কার্বাইড ও ফরমালিন ব্যবহার না করার জন্যে ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঞা বলেন, দেশীয় সুস্বাদু ফল আম ও লিচু এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ফল চাষিদের ফল সংগ্রহ এবং এর বিপণন ও পরিবহন কার্যক্রমে কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখা দিলে জেলা প্রশাসন তা নিরসন করবে। ফলের আড়ত এবং বাগানগুলোতে প্রশাসনিক মনিটরিং ব্যবস্থা চলমান থাকবে বলে জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন। তবে জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে ক্ষতিকর স্প্রে থেকে বিরত থাকা এবং ব্যাগিং পদ্ধতি অনুসরণে সমবেত কৃষকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/০৭মে/এসএ)